চিকিৎসা শেষে চার মাস পর দুই পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেতা-কর্মীদের অভ্যর্থনা গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১১টার পর খালেদা জিয়া বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ যাচ্ছেন।
এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তাকে বহনকারী কাতারের আমিরের বিশেষ বিমানটি (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান।
পরে একই গাড়িতে বেগম খালেদা জিয়া দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমানকে নিয়ে রওনা হন।
জোবাইদা রহমান দেশের মাটিতে পা রাখার মধ্য দিয়ে প্রায় ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটলো।
তাদের আগমন উপলক্ষ্যে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’ এবং ধানমন্ডিতে জোবাইদা রহমানের বাবার বাসা ‘মাহবুব ভবন’ প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে জোরদার করা হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ সকাল থেকেই হাজার হাজার নেতাকর্মী বিএনপি চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে জড়ো হন। খালেদা জিয়ার গাড়ি বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় তারা স্লোগান ও করতালির মাধ্যমে উল্লাস প্রকাশ করেন। নেতাকর্মীদের আবেগঘন উপস্থিতিতে পুরো বিমানবন্দর এলাকা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিমানবন্দর থেকে গুলশানের পথে রওনা হলে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান।
দলের নির্দেশনা অনুযায়ী, খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি অবস্থান করবে বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়েন হোটেল পর্যন্ত। ছাত্রদল অবস্থান করবে লা মেরিডিয়েন হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত। যুবদল অবস্থান করবে খিলক্ষেত থেকে হোটেল র্যাডিসন পর্যন্ত।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি অবস্থান করবে হোটেল র্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত। স্বেচ্ছাসেবক দল অবস্থান করবে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত। কৃষক দল অবস্থান করবে বনানী কবরস্থান থেকে কাকলি মোড় পর্যন্ত। শ্রমিক দল অবস্থান করবে কাকলি মোড় থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল পর্যন্ত।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গেল ৭ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যে যান খালেদা জিয়া। লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পরে ২৫ জানুয়ারি থেকে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।