যে রাঁধতে জানে সে চুলও বাঁধতে জানে। এমন প্রবাদ জানান দিয়ে যাচ্ছেন ক্রীড়াঙ্গনের নারীরা। একদিকে তাদের ব্যাটে বলে কাঁপছে মাঠ, তেমনি তাদের রূপের জ্বরে কাঁপছে ক্রিকেট বিশ্ব।
যেখানে নারী ক্রিকেট, সেখানে তো গ্ল্যামার থাকবেই। মনোমুগ্ধকর রূপ, ঠোটের বাঁকা হাসি, স্মার্ট পারসোনালিটি কোন কিছুতেই পিছিয়ে নেই নারী ক্রিকেটাররা।
তাদের এক চাহনিতেই যেন দিন বদলে যায় লাখো ভক্তের। ক্রিকে বিশ্বের তেমনই কয়েকজন নারীর তারকার কথা তুলে ধরা হলো এখানে।
এলিসা পেরি
নামেই যথেষ্ট, যার জন্য দরকার পড়ে না কোনো উপমার। অলরাউন্ডার এই অজি নারী ক্রিকেটার শুধু যে ক্রিকেট মাঠই কাঁপাচ্ছেন তা কিন্তু নয়।
২০০৭ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট ও ফুটবল দলে নাম লিখিয়ে ইতিহাস গড়েন এই তারকা ক্রীড়াবিদ। তার রূপ আর গুণ মুগ্ধ করেছে সবাইকে।
কাইনাত ইমতিয়াজ
পাকিস্তানের হার্টথ্রব কাইনাত। যে কোন মডেলকে হার মানানো তার রূপ। ডান হাতি এই বোলার তার মনোমুগ্ধকর রূপ দিয়ে জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বের সেরা সুন্দরী ক্রিকেটারের তালিকায়।
২০১০ সালে পাকিস্তানের জাতীয় ক্রিকেট দলে অভিষেক করে এই অলরাউন্ডার ক্রিকেটার। ২২ গজের মাঠ যেমন তার বলে দাপুটে তেমনি তার রূপের ছোটায় কাঁপছে ক্রিকেট বিশ্ব।
সারা টেইলর
ইংল্যান্ডের ক্রাশ সারা টেইলর। যদিও তার রূপ গুণের বন্দনা এখন বিশ্বজুড়ে। ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার।
সর্বকালের সেরা এই উইকেটকিপার ওপেনিং ব্যাটসম্যান মাঠেও দারুণ। ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে দুটি আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ জেতার রেকর্ড আছে এই সুন্দরী নারী ক্রিকেটারের।
স্মৃতি মান্দানা
ক্রিকেট মাঠে যে কয়জন সুন্দরী নারী ক্রিকেটার হাজারও তরুণের মন জয় করে রেখেছেন তার মধ্যে অন্যতম সেরা স্মৃতি মান্দানা। ভারতীয় জাতীয় ক্রাশ হিসেবেই যার পরিচিতি।
বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ২০১৩ সালে ভারতের হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পণ করেন। বিসিসিআই কর্তৃক তাকে সেরা আন্তর্জাতিক নারী ক্রিকেটারের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
জাহানারা আলম
যার কাজলটানা হরিণী চোখে ঘায়েল হয়েছে বহু হৃদয়। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলমের কথাই বলা হচ্ছে।
বোলিং অলরাউন্ডার হয়ে খেলেছেন ৭১টি টি-টোয়েন্টি আর ৪০টি ওয়ানডে ম্যাচ। বল-ব্যাটে যেমন জেতাতে পারেন এশিয়া কাপ তেমনি রূপ দিয়েও করেছেন লাখো তরুণকে কুপোকাত।