ইনজুরি ছিটকে দিলো লিওনেল মেসিকে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার স্কোয়াড থেকে বাদ পড়লেন এলএমটেন। মেসির না থাকার খবর নিশ্চিত করেছে ইন্টার মায়ামি কর্তৃপক্ষ। সুস্থ হতে সময় লাগবে, আর পুরোটা সময় লিও যুক্তরাষ্ট্রেই থাকবেন।
অন্যদিকে অনেক আগেই ব্রাজিল থেকে ছিটকে গেছেন নেইমার। ফলে ২০ বছর পর প্রথমবার মেসি-নেইমার ছাড়া আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ম্যাচ দেখবে ফুটবল বিশ্ব।
আটলান্টার বিপক্ষে মেসি যেন ফিরিয়ে এনেছিলেন সেই টগবগে এলএমটেনকে। পুরো ৯০ মিনিটে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের ম্যাজিক্যাল পারফর্ম্যান্সে আরো একবার তৈরি হয়েছিলো মেসি মোমেন্টস। সানডেতে সুপারহিট লিও শো।
ক্লাবের ডিউটি থেকে আপাতত ছুটি এবারে দেশের হয়ে মাঠ মাতানোর পালা আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের। উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দলবলে অনুশীলনে নেমে পড়েছে সবাই। কিন্তু এতোগুলো ছবির ভিড়ে লিও কোথথাও নেই। তবে কী? যা মনে মনে সন্দেহ করা হয়েছিলো তাই হলো ঠিক।
ভালো নেই লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার এবারের রোস্টার থেকে বাদ পড়লেন বিশ্বজয়ী। ২০২৬ বিশ্বকাপ দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে উরুগুয়ে এবং ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য লিওনেল মেসিকে ছাড়াই ২৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি।
অর্থাৎ আটলান্টার বিপক্ষে মাঠে যে দুরন্ত মেসিকে দেখেছে সবাই, সেই ম্যাচের পুরোটা সময় এলএমটেন খেলেছিলেন ব্যথা আর অস্বস্তি নিয়ে। ইন্টার মায়ামি থেকে বলা হয়েছে, ঊরুর মাংসপেশিতে টান পেয়েছেন মেসি। সুস্থ হয়ে উঠার সময়টাতে থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রেই।
নেইমার ছিটকে গিয়েছিলেন আরো আগেই, এবারে লিওনেল মেসিও নেই। অর্থাৎ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এবার আর হচ্ছে না মেসি-নেইমার শো।
শনিবার মন্টেভিডিওতে স্বাগতিক উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। একই সময় বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাসিলিয়ায় স্বাগতিক ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া। এরপর ২৬ মার্চ বুয়েনস অ্যায়ার্সে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নামবে স্কালোনির দল। দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইয়ে ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট পাওয়া ব্রাজিল টেবিলের পাঁচে।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচে মেসি ও নেইমারের অনুপস্থিতি হামেশাই দেখা যায় না। দুজনের একজনও নেই, এভাবে সর্বশেষ কবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ দেখা গেছে প্রায় ২০ বছর আগে। ২০০৫ সালের ২৯ জুন, অধুনালুপ্ত ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ ফাইনাল। ফ্রাঙ্কফুর্টের সেই ফাইনালে তেভেজ–রিকেলমেদের আর্জেন্টিনাকে ৪–১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল।
আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির অভিষেক ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট হাঙ্গেরির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে। পরের বছর ২ সেপ্টেম্বর ব্রাজিলের বিপক্ষে মূল জাতীয় দলের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেন মেসি। এমিরেটস স্টেডিয়ামে সে ম্যাচেও আলফ বাসিলের আর্জেন্টিনা হেরেছিল ৩–০ গোলে।
ব্রাজিলের জার্সিতে নেইমারের অভিষেক ২০১০ সালের ১০ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে। মাঝে দুই মাস পর ১৭ নভেম্বর প্রীতি ম্যাচে প্রথম আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হন নেইমার। ম্যাচটি হেরেছিল ব্রাজিল।