রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও লন্ডনে পাওয়া যাচ্ছে পদ্মা ও চাঁদপুরের ইলিশ। নিষেধাজ্ঞার পরও কীভাবে লন্ডনে যাচ্ছে বাংলাদেশের ইলিশ বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন খোদ মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। একাত্তরের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে লন্ডনে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে কালিবাউস নামে।
২০১২ সাল থেকে ইলিশ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দেশের বাজারে ইলিশের জোগান ঠিক রাখা এবং দাম নাগালের মধ্যে রাখতেই গত এক দশক ধরে সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়নি। তবুও লন্ডনের বিভিন্ন সুপারশপে পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশের ইলিশ।
এ প্রসঙ্গে মৎস্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেই মাছগুলো রপ্তানি হয় তার তালিকায় ইলিশ নেই এবং সামনে আমাদের ইলিশ রপ্তানির কোনো পরিকল্পনাও নেই। যদি কোনোভাবে রপ্তানি হয়ে থাকে তাহলে সেটা হচ্ছে অবৈধভাবে।
লন্ডনের খুচরা ব্যবসায়িরা দুষছেন পাইকারদের আর পাইকাররা দুষছেন সাপ্লায়ারদের। একাত্তরের অনুসন্ধানে জানা গেছে মিয়ানমারের আয়ারওয়ার্দি নদীর ইলিশ প্যাকেটজাত হয়ে লন্ডনে গিয়ে হয়ে যাচ্ছে পদ্মার ইলিশ, অন্যদিকে বাংলাদেশের শুল্ক বিভাগের নজর এড়িয়ে চাঁদপুরের ইলিশ লন্ডনে রপ্তানি হচ্ছে কালিবাউশ নামে।
মৎস্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক বলেন, কালিবাউশের নামে ইলিশ রপ্তানির বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। আমি বিষয়টি কাস্টমস বিভাগকে অবহিত করবো
ব্যবসায়ি ও প্রবাসীরা সরকারী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে বৈধ পথে ইলিশ রপ্তানির দাবি জানিয়েছেন।