মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার স্বীকৃতি ও পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে দুই কংগ্রেসম্যান প্রস্তাব এনেছেন।
এই প্রস্তাব পাস করতে সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতার তাগিদ দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলছেন, গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে প্রস্তাবটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
বাংলাদেশে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিই পৃথিবীর সবচে বড় গণহত্যা।
একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি। জাতীয় সংসদ ২০১৭ সালে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিয়ে তোড়জোর শুরু হয়।
কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতিও মিলেছে। সবশেষ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহবান জানিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান স্টিভ শ্যাবট।
এতে সমর্থন দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান রো খান্না। প্রস্তাবে একাত্তরে বাংলাদেশে পাক বাহিনীর নৃশংসতাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি, পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি মানবতাবিরোধী অপরাধী ও দোসরদের বিচার করার আহবান জানানো হয়।
ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলছেন, প্রস্তাব পাশের জন্য সরকারের জোড়ালো কুটনৈতিক ভুমিকা রাখতে হবে। এগিয়ে আসতে হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও।
জাতিসংঘেও সম্প্রতি যে প্রস্তাব আনা হয়েছে সেজন্য উদ্যোগী হতে বলছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। উল্লেখ্য, ২০২১ সালেও মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছিলো, কিন্তু সেটি আর এগোয়নি।
একাত্তর/এসএ