গুলশানে মধ্যরাতে একটি বারের সামনে মারামারির ঘটনায় তিন নারীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে এক নারীকে তিন-চারজন মিলে মারধর করতে দেখা যায়। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান জানান, সে রাতে মারামারিতে অংশ নেয়া সবাই মাতাল ছিলেন।
গেলো ১৪ এপ্রিল রাতে গুলশান এলাকায় একটি বারের নিচে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কথা কাটাকাটির জেরে এক নারীকে বিবস্ত্র করে অপর চার নারী মিলে মারধর করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী রিতা আক্তার ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ করলে ঘটনার সাথে জড়িত তিন নারীকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ কোনো কারণ ছাড়াই তাকে বারের সামনে টেনেহিঁচড়ে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। এই ঘটনায় ন্যায় বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম। তখন ওই চার নারী একসাথে ওয়াশরুমে যায়। এসময় আমি রেস্টুরেন্টের বাউন্সারকে বলি, উনারা চারজন মিলে একসাথে ওয়াশরুমে গেছেন, অন্য কারোর যাওয়া দরকার হতে পারে। এর পরই তারা আমার ওপর আক্রম করে এবং আমার শাড়ি খুলে ফেলে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, এ দেশে যে এ রকম নগর সভ্যতায় এভাবে রাস্তায় নারীরা দাঁড়িয়ে এভাবে মারামারি করবে, মাতলামি করবে, অসভ্য আচরণ করবে, এটা কোনো অভিভাবকই মেনে নিতে পারে না।
ডিবি প্রধান জানান, সে রাতে বারের সামনে মারামারির ঘটনায় জড়িত সবাই মাতাল ছিলেন। প্রকাশ্যে এমন মারামারির ঘটনা সামাজে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে।
ডিবি প্রধান বলেন, একজনের কাছেও লাইসেন্স নাই, তারপরও তারা বিক্রি করলেন। আবার অতিরিক্ত মুনাফার আশায় তাদের কাছে এমন পরিমাণে মদ বিক্রি করলেন, এমন পরিমাণেই মদ খাওয়ালেন যে ওই নারীরা সবাই মাতাল হয়ে গেলেন।
লাইসেন্স ছাড়া নারীদের কাছে মদ বিক্রির জন্য ঐ বারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ডিবি প্রধান।