ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের ঘোষণার পর আতঙ্কে আছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সরকার রিকশা বন্ধ করলেও এর যন্ত্রাংশ ও ব্যাটারি আমদানি বন্ধ করেনি। তাই এখন রিকশা বন্ধ করলে, ব্যবসায়ীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার কোনো উপায় থাকবে না। সেই সাথে এ পেশায় জড়িয়ে পড়া হাজারও মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে।
তিন বছর আগে রাজধানীর দক্ষিণখানের এই বাজারে ব্যাটারি চালিত রিকশার মেরামতের জন্য ছোট্ট একটি ওয়ার্কশপ দিয়েছেন আলমগীর হোসেন। অটোরিকশা মিস্ত্রি আলমগীর জানান, এর জন্য সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিতে হয়েছে ৫ লাখ টাকা। যার কিস্তি এখনো দিতে হচ্ছে তাকে। ফলে হঠাৎ অটোরিকশা বন্ধ হয়ে গেলে বিপাকে পড়বেন তিনি।
শুধু দক্ষিণখানেই এরকম ত্রিশটি দোকান আছে। যেখানে ব্যাটারিচালিত রিকশার সকল ধরণের যন্ত্রাংশ বিক্রি হয়। ব্যাটারি রিকশা বন্ধের ঘোষণায় অনেকেই আতঙ্কিত।
উত্তরা এলাকার আব্দুল্লাহপুর থেকে শুরু করে, উত্তরখান, আশকোনা, খিলখেত, বাড্ডা, কামরাঙ্গীচরসহ রাজধানীর অধিকাংশ এলাকাতেই গড়ে উঠেছে কর্মসংস্থানের নতুন এই খাতটি।
এছাড়াও আছে অটোরিকশার গ্যারেজ। অনেকেই খালি জমি ভাড়া নিয়ে, চার্জিং পয়েন্ট বসানোর পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন নিরাপদ স্থান। তৈরি হয়েছে নতুন কর্মসংস্থান। তাই রিকশা বন্ধের ঘোষণায় অনেকেই পথে বসার আতংকে। দুশ্চিন্তা ঋণ পরিশোধ নিয়েও।
বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে, এরপর ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের দাবি এই পেশার সাথে যুক্ত এসব মানুষদের।