বিতর্কিত তেরোর এ ধারায় গত দেড় দশকে পূর্বাচলসহ তিন আবাসন প্রকল্পে এক হাজার চারশো ৫৭টি প্লট বরাদ্দ দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- রাজউক। শুধু পূর্বাচলেই দেয়া হয়েছে ১,১১৮টি প্লট।
আর এসব প্লটের সিংহভাগই পেয়েছেন পতিত স্বৈরাচারের দোসররা। রাজউক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তেরোর এ ধারায় প্লট বরাদ্দ এখন বন্ধ। তবে, বিতর্কিত এই ধারা দ্রুত বাতিল চেয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
ঢাকার অদূরে একটি পরিকল্পিত উদ্যোগ,পূর্বাচল নতুন শহর। দুই যুগেও এই শহর গড়ে না উঠলেও রাজনৈতিক মদদে জমির মালিক হয়ে কোটিপতি হয়েছেন অনেকে।
প্রকল্পটি তোষামোদকারীদের ভাগবাটোয়ারার লজ্জাজনক এক নজির। শুধু অনুগত ও তোষামোদকারীদেরই প্লট দেননি শেখ হাসিনা। নিজেও নিয়েছেন ছয়টি।
প্লট দিয়েছেন মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগও সহযোগী সংগঠনের নেতা ছাড়াও অসাধু ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, বিচারপতি, প্রবাসী, আইনজীবী, শিক্ষক,শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মীসহ অনেককে।
জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতির ভুয়া তকমায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক আইনের ১৩’র এ ধারায় প্লট দেয়া হয় নামমাত্র দামে।
ওপর মহলের নির্দেশে আওয়ামী লীগ আমলে পূর্বাচলে রাজউক বরাদ্দ দেয় ১১শ ১৭টি প্লট। ঝিলমিল প্রকল্পে দেয়া হয় ২শ ৫টি ও উত্তরায় একশ’ ৩৪টি।
এর মধ্যে পূর্বাচলে বরাদ্দ হওয়া প্লট যাচাই-বাছাই করছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি। রাজউক কর্মকর্তারা জানান, প্লট পাওয়ার পর অনেকেই বিক্রি ও হস্তান্তর করেছেন। ফলে সেগুলো বাতিল করা কঠিন হবে।
রাজউক কর্মকর্তারা জানান, অনুগতদের প্লট দিতে অনেক ক্ষেত্রেই আইনের তোয়াক্কা করা হয়নি। অনেকে একাধিক প্লট নিয়েছেন। আবার কোনো স্বামী-স্ত্রী দুটি প্লটও নিয়েছেন।