করোনার টিকা কেনার নামে ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিতর্কিত ব্যবসায়ী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
অভিযোগ আছে, ভারত থেকে আমদানি করা কোভিশিল্ড টিকা বিতরণের খরচ দেখানো হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে খরচ হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন সালমান রহমান ও তার সিন্ডিকেট।
পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন সালমান এফ রহমান। দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রভাব খাটিয়ে একের পর ঋণ জালিয়াতির হোতা ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে কারসাজির অভিযোগও আছে।
এবার তার বিরুদ্ধে করোনা ভ্যাকসিন আমদানির নামে অন্তত ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। দুদকের অভিযোগ এ কাজে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিকসহ একটি সিন্ডিকেট গড়েছিলেন সালমান। এই সিন্ডিকেটই দেশি প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মার বঙ্গভেক্স টিকা বাজারে আসতে দেয়নি বলেও অভিযোগ দুদকের।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের দুই জুলাই করোনার টিকার উদ্ভাবনের ঘোষণা দেয় গ্লোব বায়োটেক। এরপরই গ্লোবের সঙ্গে বৈঠকে বসে বেক্সিমকো। গ্লোবকে প্রস্তাব দেওয়া হয় বেক্সিমকোর সঙ্গে যৌথভাবে ভ্যাকসিন বাণিজ্যের। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি গ্লোব ফার্মা।
এরপরই সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করে ভারত থেকে ভ্যাকসিন আমদানির চুক্তি করে বেক্সিমকো। আর ট্রায়াল সম্পন্ন করেও আটকে যায় বঙ্গভেক্সের করোনা টিকা। এভাবেই দেশি উদ্যোগকে ধ্বংস করে বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আমদানি করে সালমান এফ রহমান অন্তত ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মাসাত করেন বলে অভিযোগ দুদকের।