ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় রাজনৈতিক দলাদলির ঊর্ধ্বে থেকে সুষ্ঠু বিচারের লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
রোববার (১৮ মে) সকালে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংহতি জানাতে এসেছি। শনিবার (১৭ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের সঙ্গে মিটিং হয়েছে। সেখানে কাজের অগ্রগতি জানানো হয়েছে। আজ বিকেলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ ঘটনার দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে তিনজন আসামি গ্রেপ্তার করেছে। আজ থেকে রিমান্ড প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলাদলির ওপরে উঠে ন্যায় বিচারের জন্য একসঙ্গে থাকা প্রয়োজন।
এদিকে সাম্য হত্যার প্রায় পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ঘটনার মূল রহস্য ও পরিকল্পনাকারীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
ঢাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান করার কথা থাকলেও এখনও কোনো অগ্রগতি লক্ষণীয় নয়। তাই পরিপূর্ণ বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
আর সাম্যের স্বজনরা বলছেন, সেদিন রাতেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ করে বাকি আসামিদের কেন আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না?
তবে নিরপরাধ কেউ যাতে ভুক্তভোগী না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখার অনুরোধ জানিয়ে তারা বলেন, রাজনৈতিকভাবে কেউ যাতে এর সুযোগ নিতে না পারে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে বাংলা একাডেমির বিপরীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও স্যার এএফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।