রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় হত্যাকারীদের ধরতে এলাকাভিত্তিক অভিযান 'ব্লক রেইড' চলছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহ নিজ কার্যালয়ে নিহত হবার পর তার ব্যবহৃত অফিস ঘিরে রেখেছে ইউনিটস আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। পুলিশের দাবী, ক্যাম্পভিত্তিক ব্লক রেইড দিয়ে অভিযান চলছে। কিন্তু অভিযান চালিয়েও অভিযুক্ত হত্যাকারী রোহিঙ্গা মুরশিদ ও লালুকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
সাধারণ রোহিঙ্গাদের দাবী, ক্যাম্পে ডজনখানেক সন্ত্রাসী গ্রুপ সাধারণ রোহিঙ্গা যুবকদের দলে ভিড়িয়ে তাদের দিয়ে নানা অপকর্ম করাচ্ছে।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে কোনো তথ্য বেরিয়ে এসেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাব দেননি জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান। তবে তিনি জানান, হত্যাকান্ডের একাধিক কারণ ও নেপথ্যের নায়ক আছে কিনা তা খোঁজ করা হচ্ছে।
'কক্সবাজার বাঁচাও' আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আয়াছুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এই অস্থিরতা স্থানীয়দের মাঝে প্রভাব ফেলছে। কখনো রোহিঙ্গা দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে উখিয়া টেকনাফের মানুষ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যায় আরও দুই গ্রেপ্তার
উল্লেখ্য, ঘটনার পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এপিবিএন ও পুলিশের অভিযানে পাঁচ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে সেলিম ও শওকতের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে মুহিবুল্লাহর ভাইয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনো ধরা পড়েনি হামলায় জড়িত রোহিঙ্গা লালু ও মুরশিদসহ ১০-১২ জন সশস্ত্র রোহিঙ্গা যুবক।
এদিকে, মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় আটক রোহিঙ্গা জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালামের সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। বুধবার (৬ অক্টোবর) তাদের রিমান্ড আবেদনের শুনানী হবে।
একাত্তর/টিএ