কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতায় তার পরিবারসহ স্বজনদের ক্যাম্প থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এপিবিএনের সদস্যরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) মোট ছয়টি পরিবারকে ক্যাম্পের ভেতরে একটি সেন্টারে সরিয়ে নেওয়া হয়। মুহিবুল্লাহর পরিবার ছাড়া স্বজন ও তার সংগঠনের আরও ৯ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে
মুহিবুল্লাহকে হত্যার পর থেকে তার ভাই হাবিব উল্লাহ, স্ত্রী নাসিমা খাতুনসহ আত্মীয়দের বিভিন্ন ভাবে মৃত্যুর হুমকি দেয়া হচ্ছিলো। এর প্রেক্ষিতেই তাদের সরিয়া নেয়া হয়। আর এসব হুমকি কারা দিচ্ছে তা নিয়েও কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারীরা।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক জানান, মুহিবুল্লাহর পরিবারসহ কয়েকজনকে ক্যাম্পের ভেতরে একটি সেন্টারে সরিয়ে রাখা হয়েছে। বিষয়টি এমন না যে, অনিরাপত্তার কারণে তাদের সরে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের নদী ও খালে বিষ ঢেলে মাছ ধরার মোচ্ছব
মূলত মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল থেকে তাদের সরিয়ে রাখা হয়। যেহেতু 'ক্রাইম সিন' এলাকায় লোকজন যাওয়া-আসা করা নিষিদ্ধ। তাই তাদের সেখানে পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে উখিয়ার লম্বাশিয়ায় আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস অফিসের কার্যালয়-লাগোয়া এবং আশপাশে বসতিদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
সেখানে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে কুতুপালং মেগা ক্যাম্পের মধ্যে লম্বাশিয়ায় অবস্থিত এআরএসপিএইচ কার্যালয়ে একদল অস্ত্রধারী গুলি করে হত্যা করে মুহিবুল্লাহকে।
একাত্তর/এসজে