দুর্গাপূজায় সাম্প্রদায়িক তাণ্ডবের পর এখনও স্বাভাবিক হয়নি নোয়াখালীর চৌমুহনী। লন্ডভন্ড মন্দিরগুলোতে পূজা অর্চনা বন্ধ। কবে ধর্মীয় আচার শুরু হবে তা কেউ বলতে পারেন না।
এসব ঘটনার চারটি মামলা করেছে পুলিশ ও ইসকন মন্দির কমিটি। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ৭১ জন। তবে পুলিশ বলছে, জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
নোয়াখালীর চৌমুহনীর বিজয় মন্দিরের দেবী দুর্গার স্থায়ী মূর্তি এখনো দাঁড়িয়ে আছেন বিধস্ত হয়ে। মন্দির জুড়ে ছড়িয়ে আছে বৃহস্পতিবারে তাণ্ডবের ক্ষত চিহ্ন।
বাড়তি পুলিশ বসলেও বন্ধ রয়েছে সব ধরনের পূজা অর্চনা। অথচ মন্দিরে সারা বছর চলতো হাজারো ভক্তের প্রার্থনা। তাদের মন থেকে এখন ভয় দূর হয়নি।
গত ১৪ই অক্টোবর সম্প্রদায়িক হামলায় নিহত যতন সাহার পরিবারের হাহাকার থামেনি। তার স্ত্রী লাকী সাহা এখনো বাকরুদ্ধ। চার বছরের ছেলে খুঁজে বেড়াচ্ছে বাবাকে।
মন্দিরে আসা সত্তোরোর্ধ এক নারী জানান, এ রকম তাণ্ডব সারাজীবনে দেখেননি। বছরের পর বছর বসবাস করে আসলেও এমন দৃশ্য দেখতে হবে, সেটি ভাবতেও পারেননি।
ওই এলাকার বাসিন্দারা জড়িতদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে বলেছেন, একমাত্র দ্রুত বিচার আর শাস্তি নিশ্চিত হলেই এমন ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।
এদিকে মন্দিরে হামলার ঘটনায় পুলিশ তিনটি ও ইসকন মন্দিরের পক্ষ থেকে চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ পর্যন্ত ৭১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
তবে, এলাকার সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন জানিয়েছেন, ঘটনার সময় দলীয় লোকজন হামলাকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিলো।
এর আগে ২০১৩ সালে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর বেগমগঞ্জ ও চৌমুহনীতে হিন্দুদের বাড়িতে একই রকম হামলা হয়েছিলো।
একাত্তর/এআর