ঝিনাইদহ সদর উপজেলার করিমপুর গ্রামের কৃষক চান্নু মিয়া হত্যা মামলার একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন ও ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. শওকত হোসাইন এ রায় দেন।
রায়ে পলাতক মজনু মিয়াকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং তফসের আলী, জলিল মণ্ডল, তিতু মিয়া, ইকতিয়ার হোসেন ও পলাতক আব্দুল আলিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্তদের বাড়ি একই গ্রামে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২০০৭ সালের ৪ এপ্রিল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার করিমপুর গ্রামে বিকেলের দিকে নিজ বাড়িতে কৃষক চান্নু মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যার ঘটনায় নিহতের স্বজন বাদি হয়ে ৩০ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি দীর্ঘ ১৫ বছর পর আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণসহ অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ছেলের পা হারানোর খবরে মায়ের মৃত্যু
এ রায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ১৭ জন হলেন তোয়াজউদ্দিন, সরোয়ার হোসেন, বাচ্চু মিয়া, নজরুল ইসলাম, নুর ইসলাম, মো. রানা, কলিম উদ্দিন, আব্দুস সাত্তার, খোয়াজ উদ্দিন, আসলাম হোসেন, সিরাজ উদ্দিন, জিয়াউর রহমান, বাকি মিয়া, আব্দুল লতিফ, রবিউল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম ও মধু মিয়া। এ মামলার চারজন আসামি মামলা চলাকালীন সময়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনজন আসামী মামলা থেকে খালাসপ্রাপ্ত হয়েছেন। তারা হলেন নওয়াব আলী, লিটন মিয়া ও পলাতক বিসরাত আলী।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নেগবর হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষের আইনজীবী উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।
একাত্তর/এসজে