বগুড়ার আদমদীঘিতে বিয়ের ছয় মাসের মাথায়ই যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় রোববার (২ অক্টোবর) দুপুরে নিহত গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে আদমদীঘি থানা পুলিশ।
এর আগে, শনিবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
জানা গেছে, নিহত গৃহবধূ সৈয়দা সারাহ আহমেদ প্রিয়াসা (২৩) আদমদীঘি রহিম উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডহরপুর গ্রামের আনোয়ারুল হক পল্টুর ছেলে নাসরুল হকের স্ত্রী ও নওগাঁ মাস্টারপাড়ার সৈয়দ জসিম উদ্দীন আহমেদের কন্যা।
প্রিয়াসার মা ইয়াসমিন আহম্মেদ অভিযোগ করে বলেন, মাত্র ছয় মাস আগে এ বছরের ১০ মার্চে তাদের কন্যার বিয়ে হয় বগুড়ার আদমদীঘি রহিম উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডহরপুর গ্রামের আনোয়ারুল হক পল্টুর ছেলে নাসরুল হকের সাথে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুর তাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় মাঝেমাঝেই প্রিয়াসাকে মারপিট ও নির্যাতন চালাতো স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
তিনি আরও জানান, এর জের ধরেই শনিবার সন্ধ্যায় প্রিয়াসাকে মারপিটের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হত্যা করেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকি হত্যার পর তার মরদেহ দীর্ঘক্ষণ ঘরে ফেলে রাখেন তারা। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: শোবার ঘর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, নিহত গৃহবধূ প্রিয়াসার মা বাদি হয়ে দুপুরে প্রিয়াসাকে যৌতুকের দাবিতে মারপিট ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী নাসরুল হক ও শ্বশুর আনোয়ারুল হকের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি প্রিয়াসার স্বামী নাসরুল হককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলেও জানান ওসি।
একাত্তর/জো