ইলিশ নয়, জেলেদের জালে ধরা পড়ছে বড় বড় পাঙ্গাশ। নিষেধাজ্ঞা শেষে বরিশালে ইলিশের তেমন দেখা মিলছে না। তবে জেলেরা বলছেন, এবার জালে ধরা পড়ছে প্রচুর পাঙ্গাশ মাছ। আকারেও বেশ বড় সুস্বাদু পাঙ্গাশ মাছ।
নগরীর পোর্ট রোডে পাইকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গত কয়েকদিনে আনা হয়েছে হাজার মণের কাছাকাছি পাঙ্গাশ। জেলেরা বলছেন, গত দুই দশকে এমন পাঙ্গাশের দেখা মেলেনি। দামও কম হওয়ায় ইলিশের চেয়ে এই মাছ বেশি কিনছেন ক্রেতারা।
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে কাজে ফিরেছেন বরিশালের জেলেরা। কিন্তু স্থানীয় নদীতে ইলিশের দেখা মিলছে আগের চেয়ে কম। তবে ইলিশ না মিললেও শ্রীপুরের কালাবদর, মেহেন্দিগঞ্জের তেতুঁলিয়া আর ভোলার মেঘনায় বেশি ধরা পড়ছে পাঙ্গাশ মাছ।
লাল রঙা কট সুতার তৈরি জালে ধরা পড়ছে বড় বড় পাঙ্গাশ। ইলিশের বদলে পাঙ্গাশ পেয়ে খুশি জেলেরা। মাছ ঘাটে আসা জেলেদের প্রতিটি ট্রলারে ২০-২৫টি পাঙ্গাশ মাছ রয়েছে।
বছরের অন্যান্য সময় এমন পাঙ্গাশ পাওয়া যায় না। ইলিশের সঙ্গে প্রচুর নদীর পাঙ্গাশ মাছের দেখা দেওয়ায় ব্যবসায়ীরাও খুশি। প্রতি কেজি পাঙ্গাশ মাছ ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কোন কোন পাঙ্গাশের ওজন ২০ কেজি পর্যন্ত হচ্ছে।
কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় এখনও এর দাম চড়া বলছেন পাইকাররা। তারপরও বড় ওজনের ইলিশ মিলছেই না। তবে আড়ৎদার সমিতির নেতারা বলছেন, আগামী পূর্ণিমার সময় প্রচুর ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নগরীর পোর্ট রোডে বরিশাল জেলা পাইকারি মৎস্য বাজারের আড়তের এসব ব্যবসায়ীরা আরও জানান, দাম চড়া থাকায় মানুষ ইলিশ খুব একটা কিনছে না। তবে ইলিশের চেয়ে পাঙ্গাশের যোগান বেশি থাকায় ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে।
মৎস্য বিভাগের মতে পাঙ্গাশের মৌসুম চলছে এখন। আর বড় সাইজের ইলিশ ডিম পেড়ে সমুদ্রে চলে যাওয়ায় শুধু এক কেজির কম ওজনের ইলিশের দেখা মিলছে।
উল্লেখ্য, ইলিশ মাছের নির্বিঘ্ন প্রজনন নিশ্চিত করতে, গেলো ৭ অক্টোবর থেকে মাছটির আহরণ, পরিবহন ও বিপণনে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। শুক্রবার মধ্যরাতে এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে মাছ ধরতে নদীতে নামেন জেলেরা।
একাত্তর/এসি