চলমান তাপদাহের মধ্যে অসহনীয় লোডশেডিং চলছে লক্ষ্মীপুরে। এতে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বয়স্করা। এ অবস্থায় বিশেষ কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাবার পরামর্শ সিভিল সার্জনের।
জেলায় এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে, এক ঘণ্টা লোডশেডিং। সপ্তাহজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহ আর দিনে-রাতের মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত, পাঁচ উপজেলার মানুষ।
গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন গড়ে ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছাড়াই থাকছেন এখানকার প্রায় পাঁচ লাখ গ্রাহক। জেলা শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও খারাপ।
পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, রামগঞ্জ ও নোয়াখালীর চৌমুহনী গ্রিড থেকে এই উপজেলাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তবে চাহিদার তুলনায় অর্ধেকেরও কম বিদ্যুৎ পাওয়ায়, ঘাটতি সমন্বয় করতে নিয়মিত লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যেতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর।
তিনি জানান, সুতি জামা পড়তে হবে। প্রচুর পরিমাণের পানি খেতে হবে এবং অপ্রয়োজনে বাইরে যাওয়া যাবে না।
লক্ষ্মীপুর ও রায়পুর পৌরসভার পানি সরবরাহ শাখা সূত্রে জানা গেছে, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে পৌরসভার ট্যাংকে পানি ওঠানোয় সমস্যা হচ্ছে। ফলে গ্রাহকদের নিয়মিত পানিও সরবরাহ করা যাচ্ছে না।