বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, খুনিরা নতুন করে ফিরে আসার ষড়যন্ত্র করছে। যারা শেখ হাসিনাসহ খুনিদের পুনর্বাসন করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আবার রাজপথে নামতে ও জীবন দিতে প্রস্তুত আছি।
চট্টগ্রামে গণঅভ্যুত্থানে নিহত ১০৫ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ওই পরিবারগুলোকে ৫ লাখ টাকার একটি করে চেক তুলে দেওয়া হয়।
জুলাই আন্দোলনে নৃশংসতার বর্ণনা দিতে গিয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে ‘প্যাথলজিক্যাল খুনি’ আখ্যায়িত করে সারজিস আলম বলেন, হাসিনা যদি একজন প্যাথলজিক্যাল খুনি না হতো, তাহলে সে ২ হাজার তাজা প্রাণ কেড়ে নিতে পারতো না। একটা জীবনের প্রতিও যদি তার মায়া থাকতো, সে এতগুলো জীবন ঝরাতে পারতো না। এমনকি হাসপাতালেও পুলিশ ও আওয়ামী ক্যাডাররা গুলি চালিয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন এই বাংলাদেশে কিছু পুলিশ সদস্য আবার একটি দলের হয়ে কাজ করছে। দয়া করে ওই পোশাকটা খুলে রেখে চলে যান। আমরা জীবন দিতে শিখে গেছি, এই দেশে কোনো দালাল ও তোষামোদকারীর আর জায়গা হবে না। শহীদ ভাইদের নিয়ে এখনো মামলা ব্যবসা হচ্ছে। আমরা এগুলো দেখতে চাই না।
সারজিস বলেন, এখনো যারা এই আন্দোলনের বিপক্ষে সাফাই গায় তারা শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া কীট। এসব কীটের যদি আবার পাখা গজায় আজ থেকে ৫ বছর পর তারা শহীদ পরিবারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। তাই খুনিরা যেন কোনোভাবেই পুনর্বাসনের সুযোগ না পায় সে জন্য সচেতন থাকতে হবে।
তিনি শেখ হাসিনার ফাঁসি ও তার দোসর খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সারজিস বলেন, আমরা যত সান্ত্বনাই আপনাদের দেই, আর্থিক সহযোগিতা করি, একজন সন্তানের অভাব, একজন জীবনসঙ্গীর অভাব, একজন ভাইয়ের অভাব কোনোদিনও পূরণ করতে পারবো না।