গাজীপুরে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ হওয়া ১৬টি কারাখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে যান চলাচল বন্ধের প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর তা স্বাভাবিক হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) পরে রাত আটটার দিকে যৌথ বাহিনীর চেষ্টায় শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে গাজীপুরের চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের চক্রবর্তী এলাকায় তারা সড়ক অবরোধ করে ভাঙচুর ও আগুন দেন।
পুলিশ জানায়, বন্ধ কারখানার শ্রমিকরা পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পাশে শ্রীপুর এলাকায় জড়ো হয়। এক পর্যায়ে তারা সড়কে চলাচলরত যানবাহন ভাঙচুর এবং বেশ কয়েকটিতে আগুন দেয়।
সন্ধ্যার পর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা গাজীপুরের সরাবো এলাকায় গ্রামীণ ফেব্রিক্স অ্যান্ড ফ্যাশন লিমিটেড একটি তৈরি পোশাক কারখানায়ও আগুন দেয় ।
কাশিমপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার তাশারফ হোসেন জানান, কাশিমপুর ও ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় ওই কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তাৎক্ষণিক ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি।
গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকোর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভার সিদ্ধান্তের পর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বর্তমানে কারাবন্দী।