প্রতি বছরের মত এবারও ইজতেমা থেকে দ্বিনের দাওয়াতে বের হচ্ছেন তাবলিগ জামাতের একটি দল। এবারের সংখ্যা ৩৫ হাজার। এরকম উদ্যোগের ফলে তুরাগ পাড়ে বিশ্ব ইজতেমায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে বাড়ছে মুসল্লির সংখ্যা। এই দলে আছেন বিদেশি মুসল্লিরাও। আজীবন ইজতেমায় আসার ঘোষণা দিয়েছেন কেউ কেউ।
বগুড়ার মাহফুজুর রহমান। ৪৭ বছর ধরে তিনি বিশ্ব ইজতেমায় আসেন। ছাত্রজীবন থেকে আসা শুরু করেন, চাকরি শেষ হয়েছে, এখনো আসেন। আসার পর এখনো একই রকম মানসিক শান্তি অনুভব করেন। যতবার তিনি আসেন, ততবারই আখেরি মোনাজাত শেষে ফিরে গিয়ে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে বেড়ান।
আজীবন দ্বিনের পথে থাকতে চান তিনি। মাহফুজুরের মতো দুই যুগ ধরে ধরে নিয়মিত বিশ্ব ইজতেমায় আসা প্রবীণ মুসল্লির সংখ্যা এবারের ইজতেমায় কম নয়। ইজতেমার জন্য ময়দান প্রস্তুত থেকে শুরু করে নানা ধরনের কঠোর পরিশ্রম করেন তারা। ইজতেমার আগেও কয়েক মাস ইজতেমার দাওয়াত দেন ঘুরে ঘুরে।
দেশি তাবলিগের মুসল্লিদের মতো কেবল বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে বাংলাদেশে আসছেন বিদেশি মুসলিমরা। তাবলিগ জামাতের ভারত, পাকিস্তান, ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকার অনেক মুসল্লিও টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় আসছেন বারে বারে। অনেকেই আসতে চান আজীবন।
তাবলীগের আয়োজক মুরুব্বিরা বলছেন, সুষ্ঠুভাবে এবারের দুই পর্বে তিন ধাপের ইজতেমা শেষ হচ্ছে চলতি মাসেই। আগামীতে যাতে আরো বেশি দেশি বিদেশি মুসল্লি দাওয়াতের কাজ শেষে ইজতেমায় আসতে পারেন, সেজন্য এখনই দিন তারিখ ঠিক হয়ে গেছে।
বছর ঘুরে আবারো তাবলিগের লাখো দেশি-বিদেশি মুসল্লি আগামী বছরের ২ জানুয়ারির বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেবেন, সেই আশাতেই আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।