ঈদ শেষে দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট দিয়ে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। শনিবার (১৪ জুন) সকাল থেকেই ফেরি ও লঞ্চে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে করে রাজবাড়ির দৌলতদিয়া ফেরিঘাট হয়ে পাটুরিয়াঘাটে আসছে যাত্রীরা। সবচেয়ে বেশি আসছে মোটরসাইকেল। লঞ্চঘাটেও যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
তবে রাস্তা কিংবা ফেরিঘাটে কোনো ধরনের ভোগান্তি না থাকায় নিরাপদ ও স্বস্তিতে যাত্রীরা পার হচ্ছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
আছে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগও। যাত্রীদের অভিযোগ, পাটুরিয়াঘাট থেকে ঢাকার গাবতলীর ভাড়া ১৫০ টাকা হলেও নেয়া হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ঘাট থেকে মানিকগঞ্জ, সাভার, নবীনগরসহ যেকোনো স্থানের ভাড়াও নেয়া হচ্ছে ঢাকার ভাড়ায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
অভিযুক্ত পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদ ফিরতিতে ঢাকা থেকে খালি বাস আনতে হচ্ছে। একমুখী যাত্রীর কারণে ভাড়া সামান্য বেশি নিচ্ছেন তারা।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, যাত্রীদের নিকট থেকে বাড়তি ভাড়া নেয়ার সুযোগ নেই। কোনো পরিবহন বাড়তি ভাড়া নিলেও যাত্রীদের সে ভাড়া ফেরত দেয়া হচ্ছে। উপজেলার টেপড়া বাসস্ট্যান্ড, উথলী-পাটুরিয়ার মোড়সহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে আমাদের মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটেও যাত্রীর চাপ বেড়েছে। পাবনার কাজিরহাট থেকে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোটে করে আরিচাঘাটে আসছে যাত্রীরা।
দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বুধবার থেকে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। তবে আরিচা ও পাটুরিয়া ফেরিঘাট, বাস স্ট্যান্ড এবং লঞ্চঘাট এলাকায় এসব নির্দেশনা মানতে দেখা যায়নি কাউকে। বেশির ভাগ যাত্রীই মাস্ক ছাড়া চলাচল করছেন। ভিড়ের কারণে শারীরিক দূরত্বও মানছেন না কেউ।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রী পারাপারে ১৫টি ফেরি ও ১৮টি লঞ্চ চলাচল করছে।