অব্যাহতভাবে অসহনীয় তাপমাত্রায় হাঁসফাঁস চুয়াডাঙ্গা জনজীবন। টানা চার দিন ধরে রেকর্ড তাপমাত্রায় পুড়ছে এলাকাটির জনপদ।
শুক্রবার দুপুর তিনটায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসে আদ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ধারনা করা যাচ্ছে, আজও জেলার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ সর্বোচ্চ হতে পারে।
এর আগে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি, বুধবার ৪০ দশমিক আট ডিগ্রি ও মঙ্গলবার ৪০ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এদিকে দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়া তাপমাত্রা আরও বেড়ে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির তেমন আভাস নেই। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এটি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিনা তা সন্ধ্যা ছয়টায় নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তাপপ্রবাহ থেকে শিশুদের রক্ষায় রোদে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, এরেই মধ্যে তাপদাহে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসাপাতালে শিশু রোগী ভর্তি বাড়ছে।
৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। এছাড়া ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও ৪২ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রাকে খুব প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বলা হয়।