শরণখোলার খুড়িয়াখালী-বগী ভারাণী খালের পাশের রিং বাঁধের দুই স্থানের প্রায় ১০০ফুট ভেঙে গেছে। ওই স্থান দিয়ে হু হু করে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ওই এলাকার শতাধিক পরিবার।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে স্থান দুটিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
তারা জানান, জোয়ারের পানির চাপে খুড়িয়াখালী গ্রামের চুন্নু ফকিরের বাড়ির সামনে থেকে ৫০ থেকে ৬০ ফুট এবং শাহজাহান মোল্লার বাড়ির সামনে থেকে প্রায় ৩০ ফুট বাঁধ ভেঙে গেছে। ভাঙন থেকে দুই বেলা জোয়ারে পানি ঢুকে শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে। অনেক পরিবারে রান্না বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া কাদাপানিতে এক দুর্বিসহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
তেড়াবেকা গ্রাম থেকে খুড়িয়াখালী গ্রাম পর্যন্ত রিং বাঁধটির দৈর্ঘ প্রায় দুই কিলোমিটার। এই অংশটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের মূল বেড়িবাঁধের আওতার বাইরে। গত বছর ঘূর্ণিঝড় রিমালে এই বাঁধটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তখন উপজেলা প্রশাসনের জিআর প্রকল্পের মাধ্যমে বাঁধটি সংস্কার করা হয়।
ভাঙন এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান হাওলাদার, আব্দুল গণি হাওলাদার, হারুন ফরাজী, রিয়াজ মাঝি জানান, রিং বাঁধ ভেঙে সকাল ও রাতে দুই বেলা জোয়ারের পানি তাদের ঘরে ঢুকে পড়ছে। চুলায় পানি জমায় রান্না করতে পারছেনা অনেক পরিবার। প্রত্যেক বছর ঝড়-বন্যা হলেই তাদের এই দুর্ভোগে পড়তে হয়। বাঁধটি উঁচু করে নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, রিং বাঁধটি মূল বেড়িবাঁধের বাইরে। যে কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ড এখানে কোনো বড়ো প্রকল্প গ্রহণ করতে পারছে না। দুর্যোগ কেটে গেলে সরকারি বরাদ্দ থেকে ভেঙে যাওয়া অংশ মরামতের ব্যবস্থা করা হবে