তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে এবার আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের মুকুলে ভাটা পড়েছে। অন্য বছরগুলোতে ফাল্গুন মাসে এসময় শতভাগ মুকুল এলেও এবার তা মাত্র ৬০ শতাংশ। তবুও যে পরিমাণ মুকুল এসেছে তা টিকিয়ে রাখতে পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা।
তবে আমের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হলে কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে যাবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
আমের নাম শুনলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নামটি আসে প্রথমে। এ জেলার অর্থনীতিও টিকে আছে আমের উপর নির্ভর করেই। তবে এবছর আমের বাগানগুলো এবার কাঙ্ক্ষিত মুকুলের দেখা নেই।
চাষিরা জানান, গতবারের তুলনায় এবার আম গাছে মুকুল এসেছে অর্ধেকের সামান্য বেশি। একারণে এবার আমের ফলন নিয়ে শঙ্কিত তারা।
অবশ্য পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা নতুন বাগানে মুকুল এসেছে প্রায় শতভাগ। বিদেশে রপ্তানি বাড়লে আর ন্যায্যমূল্য পেলে পুরনো বাগানে কম ফলনের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে মনে করেন চাষিরা।
আমের মুকুল কম আসার বিষয়টি স্বীকার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, অপরিকল্পিত বড় বাগানের চেয়ে ছোট পরিকল্পিত বাগান গড়া বেশি লাভজনক।
এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে ৭৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৫ টি আম গাছে ৬০ ভাগ মুকুল এসেছে। তবে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এখনও নির্ধারণ হয়নি।