নাটোরের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা চেষ্টার মামলা হয়েছে। শনিবার দুপুরে জেলা বিএনপির দুই নেতা আলাদাভাবে এ দুটো মামলা করেন।
শনিবার দুপুরে প্রথম মামলার এজাহারে সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন মামলাটি করেন।
দ্বিতীয় মামলাতেও সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলকে প্রধান আসামি করা হয়। এ মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০ থেকে ১২ জনকে। মামলাটি হত্যা চেষ্টার। জেলা বিএনপির সদস্য সাইফুল ইসলাম আফতাব এ মামলাটি করেছেন।
প্রথম এজাহারে ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন বলেন, গত ১৩ মার্চ দুপুরে কোর্টে একটি মামলার হাজিরা শেষে সিংড়া যাওয়ার পথে সদর উপজেলা সড়ক ও জনপথ ভবনের সামনে তৎকালীন সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের নির্দেশে একদল লোক গাড়িতে করে এসে আমার মোটরসাইকেল থামিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট ও গুলি করে চলে যায়। এ ঘটনায় শিমুলকে প্রধান করে সাগর, জাহিদ, কোয়েল, সেলিম, মিলন, সায়েম হোসেন উজ্জ্বল, খোকন, মলয়, আমিনুল ইসলাম, কানন, সজিব, সবুজ, রাসু, মাহাতাব, সৌমেন, স্বপন, শিহাব, হৃদয়, আলিফ, জনি, সুমন, সুমন মৃধাসহ আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে হত্যা চেষ্টার মামলা করেছি।
আরেক মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম আফতাব বলেন, গত বছরের ২৯ অক্টোবর মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্টেশন এলাকার মামুন ফার্মেসির সামনে আমার ওপর হামলা হয়। হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে করে এসে আমাকে এলোপাথাড়ি মারপিট ও গুলি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য শিমুলকে প্রধান করে সাগর, জাহিদুর, জামিল হোসেন মিলন, সায়েম হোসেন উজ্জ্বল, মলয় কুমার, আমিনুল ইসলাম আজম, কোয়েল, কানন, সেলিম. সজিব, সবুজ, মাহাতাব, সৌমেনসহ আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেছি।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক কৃষ্ণ মোহন সরকার এজাহার গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।