বগুড়া পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ডের সীমানা অক্ষুণ্ন রেখে সিটি করপোরেশন ঘোষণার জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। রোববার (২৭ এপ্রিল) জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা এ-সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) প্রতিষ্ঠা বিধিমালা–২০১০–এর বিধি-৫–এর উপবিধি(২) অনুসারে বিদ্যমান বগুড়া পৌর এলাকার মৌজাসমূহের অন্তর্ভুক্ত এলাকা নিয়ে বগুড়া সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো। এ বিষয়ে কারও কোনো মতামত বা আপত্তি থাকলে তা একই বিধিমালার বিধি ৫–এর উপবিধি(৪) মোতাবেক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে হবে। ওই সময়ের পর মতামত বা আপত্তি গ্রহণ হবে না।’
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, বগুড়া পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কোনো আপত্তি বা মতামত দিতে ইচ্ছে হলে তা আগামী এক মাসের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লিখিতভাবে জানাতে হবে। ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামত ও আপত্তি নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হবে। এরপর সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রটি জানায়, ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বগুড়া পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার জন্য গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো হয়। সেই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ বগুড়াকে সিটি করপোরেশন ঘোষণার আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নিয়েছে।
জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী যে কোনো জেলায় সিটি করপোরেশন বাস্তবায়ন করতে হলে পৌর এলাকার জনসংখ্যা হতে হবে কমপক্ষে চার লাখ। সেখানে বগুড়া পৌরসভার স্থায়ী জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় সাড়ে চার লাখ। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে তিন হাজার প্রয়োজন হলেও এ শহরে আছে পাঁচ হাজার ৮৪৩ জন।
১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বগুড়া পৌরসভাটি ১৯৮১ সালে ‘ক’ শ্রেণির মর্যাদা পায়। পরে আয়তন বাড়তে বাড়তে ২০০০ সালে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ৭৬ বর্গকিলোমিটার। এরপর ২০০৪ সালে বর্ধিত করে ৬৯ দশমিক ৫৬ বর্গকিলোমিটার করা হয়। ২১টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বগুড়া পৌরসভা প্রায় ৭০ বর্গকিলোমিটার। সিটি করপোরেশনের জন্য আয়তন হতে হয় কমপক্ষে ২৫ বর্গকিলোমিটার।