নওগাঁর বদলগাছীতে অভিযান চালিয়ে বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে খায়রুজ্জামান লিটনের এপিএস আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সাথে টিটুকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে ওই বাড়ির মালিক ও বিএনপির সাবেক নেতা আব্দুল ওহাব সাগর চৌধুরীকেও (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ মে) ভোর তিনটার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাকরাইল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
অপরদিকে একই দিনে পৃথক অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের আরও তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের এপিএস। এছাড়া তিনি রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
অপরদিকে গ্রেপ্তার বাড়ির মালিক আব্দুল ওহাব সাগর চৌধুরী বদলগাছী সদর ইউনিয়ন বিএনপির ১নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
অন্যান্য গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও ইউনিয়নের মেম্বার আমিনুল ইসলাম উজ্জ্বল (৪০), আওয়ামী লীগ সমর্থক মিলন হোসেন (৩৮) ও আওয়ামী লীগ সমর্থক পুলকেশ সরকার (৫২)।
গ্রেপ্তার আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু বাসার মালিক সাগর চৌধুরীর আত্মীয়। সেই সুবাদে আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু গত বুধবার রাতে বেড়াতে আসে চাকরাইলে। এরপর গোপনে সেখানেই লুকিয়ে ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই বাসা ঘেরাও করে রাখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার পাঁচ জনের মধ্যে ৪ জনকে ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলেও বাড়ির মালিক সাগর চৌধুরীকে নিয়ে চলছিলো নাটকীয়তা। তাকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে তা নিয়ে চলে আইনগত আলোচনা। পরে তাকে ১৫১ ধারায় নওগাঁ কোর্টে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বদলগাছী থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার ভোররাতে চাকরাইল এলাকায় সাগর চৌধুরীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় রাজশাহীর সাবেক মেয়র লিটনের এপিএস ওয়াহেদ খান টিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সাথে বাড়ির মালিককেও গ্রেপ্তার করা হয়। একই রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বছরের ৫ নভেম্বর বদলগাছী উপজেলার গোবরচাঁপা হাট এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই মামলায় আটক ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।