সারাদেশে বজ্রপাতে তিন কৃষক ও দুই রাখালসহ পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা ও সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ ও ছাতকে আলাদা বজ্রপাতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
খালিয়াজুরী, নেত্রকোনা
স্থানীয়দের বরাতে খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল হোসেন জানান, বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে রসুলপুর গ্রামে ধনু নদীর পাড়ে ধান শুকানোর সময় বজ্রপাতে নিজাম উদ্দিন নামে এক কৃষক ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় রুনু মিয়া নামে আরেক কৃষক আহত হন।
অপরদিকে কৃষ্ণপুর গ্রামে বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাড়ির সামনের হাওরে ধান কাটতে গেলে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন এক কৃষক। পরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরেক ঘটনায় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে দিকে হায়াতপুর গ্রামের সামনে হাওর থেকে রাখাল সরকার গরু আনতে যান। এসময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
ছাতক, শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ)
একই দিন বিকেলে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নে বজ্রপাতে এক রাখালের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম দেলোয়ার হোসেন (৩৬)। তিনি উপজেলার নওয়াগাঁও গ্রামের জমসেদ আলীর ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, নিহত যুবক তার চাচাতো ভাই। সে পেশায় রাখাল। ঝড়ের সময় বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আকরাম আলী।
অপরদিকে, ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের হায়দরপুর গ্রামে আমির উদ্দিন (৩২) নামে এক হাঁসের খামারির মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। গ্রামের পাশে হাওরে হাঁসকে খাবার খাওয়াতে গিয়ে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দেয়া হয় বলে জানা তিনি।