বছরের পাঁচ মাস পরে ক্লাস সেভেনের ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের আলোচিত শরীফ-শরীফা গল্পটি না রাখার সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। কমিটির পর্যবেক্ষণে গল্পের ১৯টি শব্দ সমাজব্যবস্থার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
এদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মতো ব্যবস্থা নেয়ার অপেক্ষায় এনসিটিবি। আর, শিক্ষকরা বলছেন, পুরোপুরি বাদ না দিয়ে গল্পটির উপস্থাপনার ধরণে বদলের দরকার ছিল।
বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই আসার পর কিছু বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। অভিযোগ ওঠে ক্লাস সেভেনের ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের এই গল্প নিয়ে।
এই অভিযোগ আমলে নিয়ে কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির প্রধান ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রশীদ জানান, প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে, তবে চলতি বছর বইয়ে শরীফ-শরীফা নামের গল্পটি থাকা বা না-থাকার সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ের।
এদিকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান মনে করছেন গল্পটি চলতি বছর থাকবে। তবে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় এনসিটিবি।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম জানান, কমিটি সুপারিশ তো আমার কাছে দেয়নি। এটা মন্ত্রণালয়ে দিয়েছে। তাই, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করা ছাড়া কিছু করার নেই।
উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জহুরা বেগম বলেন, পুরোপুরি বাদ না নিয়ে গল্পের উপস্থাপনার ধরণে বদল আনা যেতেই পারতো।
নতুন শিক্ষাক্রমের চলতি বছরে মাধ্যমিকের চারটি ক্লাসের ৩১টি বইয়ে ১৪৭টি ভুল সংশোধনের সুপারিশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের উচ্চপর্যায়ের কমিটি।