জানুয়ারির মধ্যে সময় বেঁধে দেয়া হলেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৪০ কোটি বইয়ের মাত্র অর্ধেক পৌঁছেছে শিক্ষার্থীদের হাতে। এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলছেন, দেরিতে ছাপাতে দেয়ার পাশাপাশি প্রেস মালিকদের অসহযোগিতাও, দেরিতে বই পাবার অন্যতম কারণ।
এই মুহূর্তে দশম শ্রেণিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বই ছাপানোর কাজ চলছে বলেও জানান তিনি। একই সাথে আশ্বস্ত করেন, চলতি মাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই পৌঁছে যাবে।
রাজধানীর উদয়ন স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেনীর ইংলিশ ভার্সনের ক্লাস রুম এটি। শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে ফটোকপি করা বই দিয়ে। তাদের ইংরেজী ভার্সনের কোন শিক্ষার্থীই এখনও কোন বই হাতে পায়নি।
প্রাথমিকের শতভাগ এলেও মাধ্যমিকে চাহিদার অর্ধেক বই এসেছে। ষষ্ঠ শ্রেনীর ইংরেজি ভার্সনে একটি বইও যেমন হাতে আসেনি তেমনি বাকি তিনটি ক্লাসের জন্য তিনটি করে বই পেয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরিফুর রহমান জানান, মূল ধারার বাংলা ভার্সনে ৮ম ও ১০ম শ্রেণীতে সব বই পেলেও বাকি দুটি শ্রেনীতে মাত্র তিনটি বিষয়ের বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা।
এনসিটিবির হিসেবে ৪০ কোটি বই এর অর্ধেক এখনও শিক্ষার্থীদের হাতে পৌছায়নি। দেরিতে ছাপাতে দেওয়ার বাস্তবতা সাথে ছপাখানার মালিকদের অসহযোগিতাকে সামনে আনছেন সংস্থার চেয়ারম্যান রিয়াজুল হাসান।
তিনি বলেন, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ৪র্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর সব বই পৌছে যাবে। আর মাধ্যমিক সহ বাকি বই শিক্ষার্থীদের হাতের পেতে সময় লাগবে এ মাসের পুরোটাই।