খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে হামলা-অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে আক্রমণের ঘটনার প্রেক্ষিতে জরুরী সংবাদ সম্মেলন করেছে 'বিক্ষুব্ধ জুন্ম ছাত্র জনতা'।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এই জরুরী সংবাদ সম্মেলনে গত দুই দিনের ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরে জুম্ম জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যবস্থা গ্রহণ, জাতিসংঘের তত্তাবধানে ঘটনার তদন্তের দাবিসহ সাতদফা দাবি উপস্থাপন করে 'বিক্ষুব্ধ জন্ম ছাত্র জনতা'।
তাদের দাবির ভেতরে প্রথমেই রয়েছে খাগড়াছড়ি সদর, দিঘীনালা ও রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার পাহাড়ি অধিবাসীসহ তিন পার্বত্য জেলার জুম্ম জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান। এছাড়া বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ও অংশগ্রহণে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি সদর ও দীঘিনালা হামলার তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে জোর দাবি জানিয়েছে।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহতদের পরিবারবর্গকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা প্রদানে ব্যবস্থা, জুম্মদের ক্ষতিগ্রস্থ বৌদ্ধবিহার পুনঃনির্মাণ ও দোকান-পাট ও বাড়িঘরের মালিকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণসহ তারা চেয়েছেন ঘটনার সাথে জড়িত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের যেন বরখাস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি।
এছাড়া পাবত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সেনা-সেটলারদের প্রত্যাহার করার দাবি করে 'বিক্ষুব্ধ জন্ম ছাত্র জনতা'। তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে অবিলম্বে স্বায়ত্তশাসন প্রদানসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে কার্যকর করার দাবিও জানায় জুম্ম ছাত্র-জনতা।