গ্যালারি শিল্পাঙ্গনে চলছে প্রথম বাংলাদেশী আধুনিক ভাস্কর নভেরা আহমেদকে নিয়ে দলীয় প্রদর্শনী। ১৭ নারী শিল্পী তাদের নিজস্ব কাজের মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছেন ভাস্কর নভেরাকে।
উদ্বোধনী আয়োজনে ছিলো চিত্রশিল্পী প্রিমা নাজিয়া আন্দালিবের পারফর্মেন্স আর্ট। ‘বাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য এবং ভাস্কর্যশিল্পের অন্যতম অগ্রদূত নভেরার খোঁজে’ শিরোনামে এই প্রদর্শনী চলবে চার সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
নভেরা আহমেদ বাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্যশিল্পের অন্যতম অগ্রদূত এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথম বাংলাদেশী আধুনিক ভাস্কর। একজন ভাস্কর্য শিল্পী হিসেবে নভেরা আহমেদের মূল প্রবণতা ফিগারেটিভ এক্সপ্রেশন। তার কাজের প্রধান বিষয়বস্তু ছিল নারী প্রতিমূর্তি।
তবে নারী প্রতিমূর্তি নির্মাণে তিনি বিমূর্ততার দিকে ঝুঁকেছেন। কাজের স্টাইলের দিক থেকে তিনি ব্রিটিশ ভাস্কর হেনরি মুরের কাজ দ্বারা বিশেষ ভাবে প্রভাবিত ছিলেন।
নভেরার বেশ কিছু ভাস্কর্যে আবহমান বাংলার লোকজ আঙ্গিকের আভাস পাওয়া যায়। তবে লোকজ ফর্মের সাথে সেখানে পাশ্চাত্য শিক্ষার সমন্বয়ও করেছেন তিনি।
ঐতিহ্যের সাথে পাশ্চাত্য শিক্ষার স্বার্থক ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা তার আধুনিক চিন্তার লক্ষণ। এক্ষেত্রে তার ভাস্কর্যগুলোতে ত্রিমাত্রিক ভিউ পাওয়া যায়।
এই শিল্পীর অনেক কিছুই আমাদের অজানা, এমনকি অবোধ্যও। নিজের শিল্পের মতোই আবছায়ার ঘেরাটোপে চির-আবৃত ছিলেন তিনি।
গ্যালারি শিল্পাঙ্গনের প্রদর্শনীতে নতুন প্রজন্মের ১৭ নারী শিল্পী তাদের কাজে নভেরার চিন্তা, কাজের বৈশিষ্ট্য দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করেছেন।
তাই প্রদর্শনীর শিরোনাম 'নভেরার চোখে'। উদ্বোধনী আয়োজনে ছিলো চিত্রশিল্পী প্রিমা নাজিয়া আন্দালিবের পারফর্মেন্স আর্ট।
আরও পড়ুন: মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে গণঅর্থায়নের ছবি ‘আদিম’
১৯৬০ সালে এই আগস্ট মাসেই বাংলাদেশে প্রথম প্রদর্শনী করেছিলেন নভেরা আহমেদ। এবং তখনই বাংলার মানুষ তার ত্রিমাত্রিক কাজের সাথে পরিচিত হন।
১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক দেয়। ২০১৫ সালে প্যারিসে মারা যান এই গুণী ভাস্কর।
একাত্তর/এসি