সরকারি অনুদানের ছবি কতোটা দর্শকপ্রিয় হচ্ছে, আদৌ কি চলচ্চিত্রগুলো সমাদৃত হচ্ছে? চলচ্চিত্রগুলো মুক্তির পর সিনেমা হলই বা কয়টি পাচ্ছে? চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মানুষ সিনেমা হলে যেয়ে দেখতে চান না সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্রগুলো, যে কারনে হল মালিকেরাও সরকারি অনুদানের ছবিগুলোতে হল দিতে চান না।
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি অনুদানে ছবিগুলো বাছাইয়ের প্রক্রিয়াই ঠিক নেই, কোন ছবি অনুদান পাবে তার জন্যে পুরো প্রক্রিয়াটাই পরিবর্তন করতে হবে।
৩রা নভেম্বর দেশব্যাপী মুক্তি পায় অরুণা বিশ্বাস পরিচালিত অসম্ভব চলচ্চিত্র। ছবিটি ২২ টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়া হয়। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছে একাধিক গুণী শিল্পীরা। তবে চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর আশানুরূপ দর্শক টানতে পারেনি। একেতো রাজনৈতিক অস্থিরতা তার উপর অনুদানের ছবি সিনেমাহলও পেয়েছে কম।
পর্যাপ্ত হল না পাওয়ায় সরকারি অনুদানের আরেক চলচ্চিত্র দায় মুক্তি ১০ নভেম্বর মুক্তি দেয়া্ হয়নি। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার প্রতি অনুদানের প্রতি ছবিতে গড়ে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা দেয়। আর বাড়তি কোনো অর্থ না জুড়ে সরকারের দেয়া আংশিক ওই টাকাতেই চলচ্চিত্র নির্মান করা হচ্ছে যে কারনে ছবির গল্প থাকছে অসমাপ্ত, দর্শকও লুফে নিচ্ছে না।
পরিচালক অমিতাভ রেজা নির্বাচনের পরপরই সরকারি অনুদানের ছবি নিয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাবনা পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অনুদানের ছবির নির্বাচন প্রক্রিয়া হতে হবে ওপেন পিচিং এর মাধ্যমে, সরকারি অনুদানের ছবির ক্ষেত্রে গোড়া থেকেই পরিবর্তন আনতে হবে।
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের মতে, সরকারি অনুদানে মুক্তি পাওয়া সিংহভাগ ছবিই সমাদৃত হচ্ছে না। তবে ব্যতিক্রমও আছে, রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের নোনা জলের কাব্য, আকরামে খাঁচাসহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রশংসা কুড়িয়েছে।
একাত্তর/কেএসএইচ