বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ হাজারের বেশি মানুষ হচ্ছেন এই রোগে। এদের মধ্যে শতকরা ৯৮ শতাংশের বেশি নারী, তবে খুব অল্প সংখ্যক পুরুষও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। দুরারোগ্য হলেও, প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সার নিয়ে নারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে বিনোদন দুনিয়ার নারী তারকারা অনেক দিন থেকেই কাজ করছেন। সম্প্রতি এই তালিকায় নাম লিখিয়েছে ইন্ডিয়ার এক ঝাঁক তারকা। অলিভিয়া মুন, মাহিমা চৌধুরী, হিনা খানের মতো তারকারা নিজেরাই শেয়ার করেছেন ক্যান্সারে তাদের ভয়ংকর লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা । স্তন ক্যান্সার নিয়ে চিকিৎসা ও সচেতনতার কথা বার বার তারা উল্লেখ করেছেন।
‘হিন্দুস্তানী টাইমস’র তথ্যমতে, শুক্রবার টিভি তারকা হিনা খান তার ইনেস্টাগ্রাম পোস্টে ক্যান্সারের তৃতীয় স্টেজের কথা জানিয়ে বলেছেন, আমি চিকিৎসা শুরু করেছি এবং ভাল বোধ করছি। হিনা খান এও প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, ক্যান্সারকে তিনি জয় করবেন।
অনেক তারকা মুখ খুলেছেন তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতেও দেখা যায় তারা সোচ্চার হয়েছেন তাদের এই ক্যান্সার নিয়ে। যেমন অভিনেত্রী মাহিমা চৌধুরী যিনি ‘পরদেশ’ সিনেমার জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন। ২০২২ সালে তার ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ে। তবে তার চিকিৎসা পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি তার ইনস্টাগ্রামে জানান।
হলিউড অভিনেত্রী অলিভিয়া মুন গত বছর একটি ম্যামোগ্রাম অনুসরণ করে ডাক্তারের পরামর্শে এমআরআই, বায়পসিসহ পরিবারের স্বাস্থ্যগত তথ্যাদি ও অন্যান্য ঝুঁকি নিরীক্ষা করার মাধ্যমে তার ব্রেস্ট ক্যান্সার নির্ণয়ে নিশ্চিত হন।
২০২২ সালে টিভি তারকা ছাভি মিত্তাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর তার দীর্ঘ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে উল্লেখ করে লেখেন, তিনি সৌভাগ্যবান বোধ করেন যে ডাক্তাররা খুব তাড়াতাড়ি তার ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারায় তিনি বেঁচে গেছেন। এখন তিনি অন্য নারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বয়স নির্বিশেষে প্রাথমিক স্ক্রীনিং এবং বার্ষিক ফলো-আপের জন্য প্রতিনিয়ত তাগাদা দেন।