তারকা দুনিয়া আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন যেন একে অপরের হরিহর আত্মা। এই মাধ্যমেই এখন তাদের খবরের প্রধান উৎস। শুধু খবর কেন, গুঞ্জন ছড়ানোর ক্ষেত্রেও কম নয় বৈকি। তারকার সিনেমা, কি নাটকের প্রচার ও প্রসার বাড়াতেও এখন মোক্ষম প্লাটফর্ম হচ্ছে সামাজিক মাধ্যম।
এই যেমন পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সিনেমার মেগাস্টার দেব আর অভিনেত্রী রুক্সিণীর সাম্প্রতিক এক ঘটনা নিয়ে চলছে তুমুল হইচই। নিজের ইনিস্টাগ্রামে রুক্সিনী ‘আনফলো’ করেছেন তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক দেবকে। ব্যস, এই নিয়েই নেট দুনিয়াতে শুরু তুমুল চর্চা। তবে কি দেব-রুক্সিণীর সম্পর্কে ফাটল?
আবার অনেকে বলছেন, এসব হলো ট্যান্টবাজি। নতুন ছবি মুক্তির আগে নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে গুঞ্জনের জন্ম দেয়া সেলুলয়েডের জগতে নতুন কিছু নয়। এই যেমন, অভিষেক বচ্চনের ‘আই ওয়ান্ট টু টক’ ছবিটি মুক্তির আগে বচ্চন পরিবার দায়িত্ব নিয়ে অভিষেক-ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের বিচ্ছেদ রটিয়ে দিয়েছিল।
এবার চর্চা শুরু দেব আর রুক্মিণী মৈত্রের মান-অভিমান নিয়ে। সেই অভিমানেই নাকি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নায়ককে অনুসরণ করা বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁর বাস্তব নায়িকা। এ জায়গা থেকেই টলিপাড়ার কেউ কেউ দাবি করছেন, দেব আর তাঁর ‘দেবী’র এই বিচ্ছেদও নাকি সুপরিকল্পিত।
তাহলে কিভাবে এই নাটক মঞ্চস্থ হলো? ‘কিশোরী, তোকে না পাইলে জানি না কি করি!’ ‘খাদান’-এর নতুন গানে, ইধিকা পালকে তো মনের কথা এভাবেই বলছেন দেব। কিন্তু যেই না এল রিলের বাইরে রিয়েলের গপ্পো, মানে বান্ধবী রুক্মিণীর কথা, তখন টুক করে বলে ফেললেন আমি ‘সিঙ্গল’!
আর তার পর যেমনটি হওয়া উচিত, তেমনই হল, বান্ধবী রুক্মিণীর অভিমান। যত রাগ পড়ল ইনস্টাগ্রামে। ব্যস, দূরত্ব রচনা। মানেই ওই আনফলো! এখন বাংলার নতুন ‘বিনোদিনী’ চুপটি করে বসে আছেন! আসলে, সোশাল মিডিয়ায় সম্প্রতি দেবের একটা ভিডিও ভাইরাল হয়।
যেখানে দেব রসিকতার ছলে টুক করে বলে ফেলেছেন তিনি সিঙ্গল! পরে অবশ্য ব্যাপারটি সামলে নিয়ে বলেছেন, সাংবাদিকরা আসলে সিঙ্গল বাইট নিতে চায়! তাতে কী? টলিপাড়ার গুঞ্জনপাড়া বলছে, আসলে রুক্মিণীর নাকি এই সিঙ্গল শব্দতে আপত্তি! আর তার জেরেই আনফলো!
এই তো কিছু দিন আগে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে দেবের গলায় উত্তরীয় দিলেন রুক্মিণী। তার পরই অভিমান! টলি সূত্র অনুযায়ী, এই রুক্মিণী-দেবের আনফলো কিসসার নেপথ্যে রয়েছে প্রচার। ফলে সম্পর্কে চিড় ধরার গুঞ্জণ ধোপে টিকছে না।
সামাজিক মাধ্যমে বলাবলি হচ্ছে, একদিকে যেমন ২০ ডিসেম্বর আসছে দেবের ‘খাদান’, অন্যদিকে নতুন বছরেই মুক্তি রুক্মিণীর ‘বিনোদিনী’। তবে ফিল্মি ইতিহাস বলছে, ছবি মুক্তির আগে শুধুমাত্র প্রোমোশনের জন্যই এধরনের গুঞ্জন রটে। দেব-রুক্মিণীর বিষয়টিও হয়তো তেমনই।