ভারতীয় সিনেমা বলতে এক সময় শুধু বলিউড সিনেমাকেই ভাবা হত। তবে বদলেছে দিন, সেই সাথে বদলেছে দর্শকের রুচি। দর্শক এখন গল্পে খোঁজে নতুনত্ব, খোঁজে ব্যতিক্রমী নির্মাণ।
গেলো কয়েক বছর ধরে সাউথ ইন্ডিয়ান সিনেমার জয়যাত্রা অব্যাহত আছে। তবে এর মাঝে আলাদা ভাবে দর্শকের প্রিয় হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ভারতের মালায়ালাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিও।
মাত্র ১৪ কোটি রুপি বাজেটে নির্মিত মালায়লাম সিনেমা দুই মাসেই আয় করেছে ৫৫ কোটি রুপি। বলছি ‘সুকশ্মা দর্শিনী’ সিনেমাটির কথা। থ্রিলারধর্মী এই সিনেমাটি এরই মধ্যে নাম লিখিয়েছে সুপারহিটের ক্লাবে।
পরিচালনা করেছেন এম.সি জিথিন। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্যাসিল জোসেফ এবং নাজারিয়া নাজিম।
মাত্র ১০ কোটি রুপি বাজেটের মালায়লাম সিনেমা ‘রাইফেল ক্লাব’ দেড় মাসেই ৩০ কোটি রুপি আয় করেছে। এরই মধ্যে সিনেমাটির গায়ে লেগেছে ‘হিট’ ছবির তকমা।
ছবির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই চরিত্রে দেখা গেছে মালয়ালম আর বলিউডের আলোচিত দুই নির্মাতা অনুরাগ কশ্যপ আর দিলেশ পোথানকে। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন আশিক আবু।
ছবিটি পরিচালনা করার পাশাপাশি চিত্রগ্রহণের দায়িত্বও সামলেছেন আশিক; তাই শিকার আর শিকারির গল্পে পশ্চিম ঘাটের জঙ্গলকে সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেন।
যখন হৃদয় প্রেমে পড়ে, তখন ৭টি ধাপ অতিক্রম করে। প্রেমের এই সাতটি স্তরের গল্প নিয়েই নির্মিত হয়েছে রোমান্টিক ট্র্যাজেডি ঘরানার মালায়লাম সিনেমা ‘কাল্ব’।
গেলো বছরের জানুয়ারীতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর ‘কাল্ব’ সিনেমাটি বক্স অফিসে তেমন সাফল্য না পেলেও গেল ডিসেম্বরে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তির পর দর্শকদের নজর কাড়ে।
রানজিত সাজিব ও নেহা নাজনীন অভিনীত সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সাজিদ ইয়াহিয়া।
পরিচিত কোন তারকা নেই, আছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মোহাম্মদ মোস্তফার নির্মাণ শৈলীর মুন্সীয়ানার ছাপ। বলছি, মালায়লাম সিনেমা ‘মুরা’র কথা।
ঘনিষ্ঠ চার বন্ধুকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘মুরা’ সিনেমাটি। এই চার কিশোর কীভাবে ধীরে ধীরে এলাকার গ্যাংস্টারদের সাথে যুক্ত হয়ে অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে মূলত সে সবই দেখানো হয়েছে এই সিনেমায়।