বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারির আরেকটি নতুন ধরণ বা ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে। ফ্লার্ট নামের এই ধরন পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
এই ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে এর নাম রাখা হয়েছে ফ্লার্ট। বিজ্ঞানীদের মত, ওমিক্রনের অভিযোজন থেকেই নতুন এই ধরন সৃষ্টি হয়েছে এবং এর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা ওমিক্রন থেকে কয়েক গুণ বেশি।
ওমিক্রনের উপসর্গের সঙ্গে ফ্লার্টের উপসর্গের বেশকিছু মিল রয়েছে। ফ্লার্টে আক্রান্তদের বেশিরভাগেরই দেখা যাচ্ছে হালকা জ্বর, গলায় ব্যথা, কাশি, ক্লান্তি। হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে বিশ্রামে থেকেও অনেক ক্ষেত্রে পরিত্রাণ মিলছে।
বিজ্ঞানীর বলছেন, ওমিক্রনের জাত থেকে উদ্ভব হয়েছে নতুন ধরন ফ্লার্টের। ওমিক্রন জেএন-১ প্রজাতির অভিযোজনে তৈরি হয়েছে কেপি-২ ও কেপি-১ দশমিক ১।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফ্লার্টের নাম দিয়েছে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’। এই ধরনকে ব্যাপক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি উন্নত টিকা তৈরিতে গুরুত্ব আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
২০২০ সালের শুরুর দিকে প্রথম করোনাভাইরাস চিহ্নিত হওয়ার পর এটির হাজার হাজার অভিযোজন হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রধান ভ্যারিয়েন্ট বা ধরনগুলোর মধ্যে রয়েছে- আলফা, বেটা, গামা, ডেল্টা, মু, আর-১, ওমিক্রন ইত্যাদি।
অভিযোজনের মাধ্যমে পরিবর্তিত যে ভাইরাস তৈরি হয়, তাকে বলা হয় ভ্যারিয়েন্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বেশিরভাগ অভিযোজনের ফলে ভাইরাসটির মূল গঠনের ওপর খুব কম বা একেবারে কোনো প্রভাবই আসলে পড়ে না। সময়ের সঙ্গে এটি বিলুপ্তও হয়ে যায়।
তবে কোনো কোনো অভিযোজন এমনভাবে ঘটে, যা ভাইরাসটিকে টিকে থাকতে এবং বংশবৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাবে, ২০১৯ সালের শেষের দিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৭০ কোটি ৪৭ লাখ মানুষ। আর এতে মারা গেছেন ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ।
আর বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৯ হাজার, মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৩ জনের।