ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু। শুধু আগস্টের প্রথম ৯ দিনেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় দুই হাজার মানুষ।
অথচ পুরো জুলাইয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিলো দুই হাজারের কিছু বেশি। তবে, বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে ২০১৯ সালের মতো মারাত্মক নয় বলছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র।
অন্যদিকে, করোনা মহামারীর মধ্যে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে উদ্বিগ্ন জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের আশংকা দুই বছর আগের পরিস্থিতিই ফিরতে পারে আবারো।
মাঠ পর্যায়ে এডিস মশার ঘনত্ব জরিপেই স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিলো সেই মে-জুন মাসে। কীটতত্ত্ববিদেরা বলেছিলেন, জুলাই-আগস্টে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়বে। কিন্তু, আগে থেকে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় সেই আশংকাই সত্যি হলো।
জুলাই মাসে একটু একটু করে বাড়তে থাকে ডেঙ্গুর বিস্তার। মাস শেষে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২২৮৫ তে।
কিন্তু, আগস্টে এসে আরো ভয়াবহ রূপ নেয় ডেঙ্গু। চলতি মাসের প্রথম ৯ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
করোনার মধ্যে ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়াকে বেশ উদ্বেগজনক বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে ২০১৯ সালের পুনরাবৃত্তির আশংকা তাদের। সেবার ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছিলো এডিস বাহিত এই রোগটি।
ভয়াবহ এমন পরিস্থিতির মধ্যে নাগরিক সচেতনতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে ঢাকার নগর প্রশাসন।
কোথাও জমা পানিতে যেনো এডিস মশা জন্মাতে না পারে সে ব্যাপারে নগরবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান নিয়ে প্রতিদিনই সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছেন উত্তরের মেয়র।
এডিস দমনে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ঢাকা দক্ষিণও। তবে, লার্ভা ধ্বংসের পাশাপাশি এই মুহূর্তে উড়ন্ত মশা মারতে আরো জোরালো পদক্ষেপের পরামর্শ কীটতত্ত্ববিদদের।
একাত্তর/এআর