ইসরাইলের তেল আবিব থেকে অধিকৃত জেরুজালেমের আল-কুদসে দূতাবাস স্থানান্তরের যে ঘোষণা দিয়েছে আর্জেন্টিনা, তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি।
আর্জেন্টিনার এ সিদ্ধান্তকে আন্তর্জাতিক আইনের পাশাপাশি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ৪৭৮ নম্বর প্রস্তাবের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছে সংস্থাটি। পাশাপাশি ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনগুলোকে এই নগরী থেকে অন্য কোথাও সরিয়ে নেয়ারও আহবান জানানো হয়েছে। খবর প্রেসটিভির।
এর আগে গত মঙ্গলবার আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই তেল আবিব সফরে গিয়ে তার দেশের দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা দেন।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট এমন সময় ইসরাইল সফরে এসে এই সিদ্ধান্ত জানালেন যখন ল্যাটিন আমেরিকার বেশিরভাগ দেশ গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রেখেছে।
আর্জেন্টিনাকে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বন্ধ রাখার আহবান জানিয়ে ওআইসি বলছে, ফিলিস্তিনি জনগণের দখলকৃত ভূখণ্ডে তাদের অনুমতি ছাড়া এরকম কাজ হবে এই জনগোষ্ঠীর অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ওআইসির আগে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে অধিকৃত জেরুজালেম আল-কুদসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পাশাপাশি তেল আবিব থেকে ওই শহরে আমেরিকার দূতাবাস স্থানান্তর করেন। মার্কিন সরকারকে অনুসরণ করে আরো দু’একটি দেশ এ পর্যন্ত তাদের দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নিয়েছে।
ইসরাইল ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম আল-কুদস দখল করে নেয়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক আইনে এটি অধিকৃত ভূখণ্ড হিসেবে চিহ্নিত।