তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানলে কমপক্ষে আট জন মারা গেছে এবং জীবন বাঁচাতে এলাকার উপকূল থেকে দলে দলে পর্যটকরা পালাতে শুরু করেছেন।
গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় দূর্যোগে পড়া তুরস্কের কর্তৃপক্ষ এখনো দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। ফলে গেলো ছয় দিন ধরে দক্ষিনের বন ও পাহাড়ে আগুন জ্বলছে।
তবে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার (২ আগস্ট) পর্যন্ত তারা ১৩০টি দাবানলকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন এবং দমকল বাহিনীর সদস্য ও উদ্ধারকর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
তুরস্কের এই দাবানল প্রতিবেশী গ্রীস ও ইতালি সীমান্তেও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে এই দুই দেশের দমকল বাহিনী আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
ইতালির ন্যাশনাল ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, রোববার (১ আগস্ট) সীমান্তজুড়ে দেড় হাজারের বেশি আগুনকে মোকাবেলা করতে হয়েছে।
সেই সঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় শহর পেসকারায় কমপক্ষে পাঁচজন লোক আহত হওয়ার পরে সৈকতের রিসোর্ট ও বাড়ি থেকে শত শত লোককে সরিয়ে নেয়া হয়।
আর গ্রীসের পেলোপোনেস অঞ্চলের পাঁচটি গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহে সেখানে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে।
প্রবল বাতাস ও তাপপ্রবাহের কারণে দক্ষিণ ইউরোপ জুড়ে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল দেখছে গোটা পৃথিবী।
সবচেয়ে বড় দাবানল ঘটেছে তুরস্কের ভূমধ্যসাগরীয় এবং আজিয়ান উপকূলে। যা পর্যটকদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় একটি অঞ্চল।
গোটা সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, দাবানলের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে কিভাবে সেখানকার রিসোর্ট ও হোটেল থেকে দলে দলে পর্যটকরা পালিয়ে যাচ্ছেন।
একাত্তর/এসজে