ভারতের অপারেশন সিঁদুরের প্রতিশোধ হিসাবে পাকিস্তান শনিবার মধ্যরাত থেকে ‘অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস’ শুরু করেছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ভারত নতুন করে তাদের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। উভয় দেশের সেনারা গোলাগুলি করেছে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবরও।
প্রতিদিনই তীব্র হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের চলমান উত্তেজনা। সবশেষ শনিবার সকালে ভারতের ভাটিন্ডা বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে সেটি গুড়িয়ে দেয় পাকিস্তান। ভারতের অপারেশন সিদুরের জবাবে অপারেশন বানিয়ান মারসুসের আওতায় এ হামলা চালায় ইসলামাবাদ।
এর আগে ভোরের দিকেই ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ১১টি সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালানোর কথা জানায় পাকিস্তান। ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরে শনিবার ভোরে অন্তত পাঁচ দফা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তারপর থেকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে শহরটি।
এছাড়া ভারতের পাঞ্জাবের আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েন করা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ সিস্টেমও ক্ষেপণাস্ত্র চালিয়ে ধ্বংস করেছে পাক বিমান বাহিনী।
পাকিস্তানের আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী দাবি করেছেন, ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে পাঞ্জাবের সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের ওপর মিসাইলগুলো ছুড়েছে।
তিনি বলেন, ভারত পাকিস্তানে নতুন করে যেসব মিসাইল হামলা চালিয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগই আমাদের বিমান বাহিনী ধ্বংস করেছে। কিন্তু এসবের কোনটিতেই পাকিস্তান বিমান বাহিনীর কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এদিকে পাকিস্তান ভারতীয় বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে উচ্চগতির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন নয়াদিল্লি। ভারতীয় বিমানবাহিনী উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেন, পাকিস্তান ‘বেসামরিক এলাকা এবং সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে ড্রোন এবং দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, পাক সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ড্রোন ব্যবহার করছে এবং ভারী-ক্যালিবারের অস্ত্র দিয়ে আমাদের বিমানঘাঁটিগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে।
শুক্র ও শনিবার সকালের মধ্যে উত্তরের বারামুল্লা থেকে গুজরাটের ভুজ পর্যন্ত ২৬টি স্থানে ড্রোন দেখা গেছে বলেও দাবি করেছে ভারত। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে এসবের বেশিরভাগ ড্রোনই ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। তবে, এর মধ্যে একটি ড্রোন হামলায় পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে একই পরিবারের অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
শুক্রবার রাতেও কাশ্মীরের ভারত পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা এলওসিতে ব্যাপক গোলাগুলি করেছে দুই দেশের সেনারা। এসময় ভারতের এক সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা উন্নয়ন কমিশনার নিহত হন।