বেক্সিমকো ফার্মার তৈরি নাপা সিরাপ খেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায়, এখনই ওষুধটি বিক্রি বন্ধের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি জানান, ওষুধটির নির্দিষ্ট ব্যাচের সবগুলো নমুনা বাজার থেকে সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এরপরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামে ইটভাটা শ্রমিক সুজন খানের দুই শিশু সন্তান ইয়াছিন খান এবং মোরসালিন খান জ্বরে আক্রান্ত হয়।
১০ মার্চ রাতে বাড়ির পাশের বাজারের মা ফার্মেসি থেকে বেক্সিমকোর তৈরি নাপা সিরাপ নিয়ে শিশুদের খাওয়ানো হয়। পরে শিশু দুটি মারা যায়। নড়েচড়ে বসে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
দেশের বাজার থেকে নাপা সিরাপের ওই ব্যাচের নমুনা সংগ্রহ করে তা ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার নির্দেশ দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
বেক্সিমকোর তৈরি নাপা সিরাপ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় বাজারে বিক্রি বন্ধ থাকলেও সারাদেশে সিরাপটি বিক্রি হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, নমুনা পরীক্ষার পরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
রোববার (১৩ মার্চ) রাজধানীতে বাংলাদেশে সোসাইটি অব মেডিসিনের সম্মেলন শেষে তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, ওই ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে; যে ফার্মেসি থেকে ওষুধ নেওয়া হয়েছিল, সেটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সিরাপগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। আমাদের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। অপেক্ষা করছি রিপোর্ট কী আসে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাপার ওই ব্যাচের ওষুধ বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ২৩৩
এদিকে করোনার টিকা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন এখনো প্রায় আট কোটি ডোজ টিকা মজুদ আছে। শিগগিরই টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিয়েও বড় ধরনের কর্মসূচির ঘোষণা আসবে।
সেই সঙ্গে দ্রুত ১২ বছরের নীচের শিশুদেরও টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
একাত্তর/আরএ