দেশে সাক্ষ্যপ্রমাণ আইনে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বিচারের ক্ষেত্রে অভিযোগকারী নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং দুশ্চরিত্র প্রমাণের যে আইনি সুযোগ ছিল, সে সংক্রান্ত দুটি ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিবিসি বাংলার খবর।
সোমবার (১৪ মার্চ) এ বিষয়ক আইন এভিডেন্স অ্যাক্ট ২০২২-এর সংশোধনীর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, 'ধর্ষণের মামলায় যে ভিকটিম, তাকে অনৈতিক চরিত্র, ইমমরাল ক্যারেক্টার সম্পর্কে প্রশ্ন করা যাবে, আইনে এটা ছিল। এটাকে আমরা বাতিল করে দিচ্ছি। এভিডেন্স অ্যাক্ট-এর ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন আসা মানেই হচ্ছে কোন ধর্ষণ মামলায় যে ভিকটিম তাকে তার চরিত্র সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন করা যাবে না।'
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলে ২০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি
তিনি আরও জানিয়েছেন, 'জেরা করার সময় শালীনতা বজায় রেখে প্রশ্ন করার ব্যাপারে আদালত ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তার আইনজীবীকে নির্দেশনা দিতে পারবে।'
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, 'এই বিষয়টা কোর্টের এখতিয়ারের উপরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এরকম একটা প্রস্তাব করা হয়েছে যে জেরা করার সময় আদালত শালীনতা বজায় রাখার জন্য যে আসামি তার আইনজীবীকে, বা আসামি নিজে যদি জেরা করে তাহলে আদালত অবশ্যই এই জিনিসটা নিশ্চিত করবে যে শালীনতা বজায় রেখে ভিকটিমকে প্রশ্ন করতে হবে।'
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক নিনা গোস্বামী মনে করেন, আইনটির দুটি ধারায় আইনগতভাবেই ধর্ষণের ঘটনার বিচারের ক্ষেত্রে অভিযোগকারী নারীকেই দুশ্চরিত্র প্রমাণের সুযোগ রয়েছে রয়েছে তাতে প্রায়শই দোষী ব্যক্তি ছাড় পেয়ে যাচ্ছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক ধারা দুটি বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলছেন, তদন্তের সময়েও এসব প্রশ্নের মাধ্যমে পুলিশের কাছে অভিযোগকারীকে পাল্টা হেনস্থার শিকার হতে হয়।
ধারা দুটি বাতিল হলে এটি তদন্তকারীদের উপরেও বর্তাবে বলে জানান এই মানবাধিকার কর্মী।
একাত্তর/এআর