পঞ্চাশ বছরে ব্র্যাক। পাঁচদশক ধরে দেশের প্রান্তিক মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাল্যবিয়ে বন্ধ, অভিবাসন প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠানটির ওপর আছে মানুষের আস্থা।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচলক বলেন, দেশের হতদরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করবে ব্র্যাক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নারীর দক্ষতা উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে ব্র্যাকের ভূমিকা রয়েছে।
১৯৭২ সাল। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে শরণার্থীদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে পথ চলা শুরু ব্র্যাকের। হাওড়বেষ্টিত সুনামগঞ্জের শাল্লায় ফজলে হাসান আবেদ প্রতিষ্ঠা করেন ব্র্যাক। তার দর্শনের পথেই ১০টি দেশে মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে সংস্থাটি।
বর্তমানে ব্র্যাক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে শিক্ষা নিশ্চিত করায়। প্রায় ১ কোটি ৪২ লাখ ৫৫ হাজার ৫২৭ জন শিক্ষার্থী যুক্ত ব্র্যাকের শিক্ষা কার্যক্রমে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, প্রান্তিক এলকায় শিশুদের ঝড়ে পড়া কমাতে কাজ করছে ব্র্যাক। নারীর অধিকার ও কর্মসংস্থান নিশ্চিতেও সংস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে ব্র্যাক। পাঁচ দশকে ১১ কোটি মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ ব্র্যাকই প্রথম চালু করে কমিউনিটিভিত্তিক প্রকল্প।
চিকিৎসকরা বলছেন, দরিদ্র মানুষের দুয়ারে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিয়েছে ব্র্যাক।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, এই উত্থানে বড় অবদান দেশের মানুষের। দেশের যেকোন কাজে পাশে থাকবে ব্র্যাক।
গেলো দুই বছর করোনা মোকাবেলাতে কাজ করেছে ব্র্যাক। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এমনি রোহিঙ্গা সংকটেও কাজ করছে ব্র্যাক। সারাবিশ্বে ১৫ হাজার কর্মীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে সংস্থাটি।
একাত্তর/এআর