২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিনা অপরাধে চার বছর কারাভোগ করেছিলেন মো. জালাল ওরফে জজ মিয়া। মিথ্যা স্বীকারোক্তি নিয়ে তাকে ওই মামলায় ফাঁসানো হয়। এরই মধ্যে ১০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে ১১ জনকে নোটিশও দিয়েছেন তিনি।
জজ মিয়া একাত্তরকে জানান, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলায় ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে তাকে ধরে আনা হয়।
এরপর ১৭ দিন রিমান্ডে রেখে নানা প্রলোভন এমনকি ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে একটি সাজানো জবানবন্দি আদায় করে সিআইডি।
২০০৫ সালের ২৬ জুন আদালতে দেওয়া জজ মিয়ার ওই কথিত স্বীকারোক্তিতে বলা হয়, পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বড়ো ভাইদের নির্দেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন। আর ওই বড়ো ভাইয়েরা হচ্ছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, জয়, মোল্লা মাসুদ ও মুকুল।
তিনি জানান, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এই মামলা পুনরায় তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। সেখানে আমাকে অভিযোগ থেকে বাদ দেয়া হয়।
তিনি জানান, ২০০৬ সালের আগস্টে এই নাটকের পেছনের ঘটনা ফাঁস করে দেন ছোট বোন খোরশেদা বেগম। সে জানিয়ে দেয়, আমাকে গ্রেপ্তারের পর থেকে সিআইডি পরিবারকে মাসে মাসে ভরণপোষণের টাকা দিয়ে আসছিল। আমাকে রাজসাক্ষী করতে সিআইডির প্রস্তাবের কথাও ফাঁস করে দেয় সে।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রকারীরা আবারো আঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে: শেখ হাসিনা
ঘটনার ১৭ বছর পরও নির্যাতনের সেই স্মৃতি বয়ে বেড়ানো জজ মিয়া এখনও কেন ক্ষতিপূরণ চান, এমন প্রশ্নে বলেন, এখন ছোট ব্যবসা করি। মুক্তি পাওয়ার পর একটা স্থায়ী চাকরির জন্য অনেকের কাছে গিয়েছি, কিন্তু কেউ একটা চাকরি দেয়নি। যাদের জন্য আমার জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে, আমার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের আমি ছাড়বো না। তাই এখন ক্ষতিপূরণ চাই।
তিনি যোগ করেন, যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা পারতাম তাহলে হয়তো আমাকে কারো কাছে ঘুরতে হতো না।
একাত্তর/এসি