অক্টোবরের শেষ দিকে এসেও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু। রোগীর প্রচণ্ড চাপে নাকাল হচ্ছে রাজধানীর হাসপাতালগুলো। বেশিরভাগ রোগীরই প্রথম তিন-চারদিন তীব্র জ্বর থাকছে।
সেই সঙ্গে বমি আর পাতলা পায়খানা। জ্বর কমতে শুরু করলেই বাড়তে থাকে জটিলতা। তাই এ সময়ে জ্বর এলেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৭০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু ভর্তি ছিলো। তাদের অভিভাবকরা জানান, অসুস্থতার শুরুতে প্রচণ্ড জ্বরের সাথে বমি ছিল।
সেই সঙ্গে অনেকের পাতলা পায়খানাও ছিলো। জ্বর কমার সময় আবার পেটে পানি জমা ও বুক ব্যথার মতো জটিলতা দেখা দিচ্ছে অনেকের।
শুক্রবার সকালে শিশু হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেলো তিন মাস থেকে পাঁচ ছয় বছরের অবুঝ শিশুরা লড়ছে ভয়াল ডেঙ্গুর সঙ্গে। আর অভিভাবকদের চোখে মুখে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
তবে শিশু থেকে বয়স্ক। ডেঙ্গুর ধরণ একই। সেখানে ভর্তি সরকারি তিতুমীর কলেজের অনার্স পড়ুয়া হাসানও ডেঙ্গুতে ভুগেছে সপ্তাহখানেক। প্লাটিলেট নেমেছিলো ২১ হাজারে।
চিকিৎসকরা জানালেন, বেশিরভাগ রোগীই সময়মতো হাসপাতালে আসছেন না। সাধারণ জ্বর নাকি ডেঙ্গু এটা বুঝতেই রোগীর অবস্থা খারাপ পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
রাজধানীর হাসপাতালে এখন দুই হাজারের বেশি ডেঙ্গু রোগী আছে। চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম অবস্থা। তবে মাস শেষে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার আশা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর তিনটি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এগুলো হলো মহাখালীর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন হাসপাতাল, বিএসএমএমইউর নতুন হাসপাতাল ইউনিট ও মিরপুরের লালকুঠি হাসপাতাল।
এছাড়া, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এডিস মশা নিধনে নিজেদের বাসা বাড়িতে পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি, মশার কামড় থেকে বাঁচতে পরামর্শমূলক প্রচার চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ৪০৯ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
সেই সঙ্গে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিধনে ব্যক্তি সচেনতার পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনের আরো কার্যকর পদক্ষেপ চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মশা মারতে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার প্রতিনিধিদেরকে তাগিদ দেয়া হয়েছে। মশা কমলে ডেঙ্গু রোগী কমে যাবে, হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপও কমে যাবে।
একাত্তর/এসি