বাংলদেশ নৌবাহিনীর এভিয়েশন বহরে দুটি মেরিটাইম প্যাট্রোল
এয়ারক্রাফট সমুদ্রসীমায় অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন
বাহিনীর কর্মকর্তারা। তারা জানান, এই সঙ্গে এয়ারক্র্যাফট দু'টি সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে ২০০ নটিক্যাল মাইল। এছাড়া সমুদ্র উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত রয়েছে মহীসোপান। বিশাল এই সমুদ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা, নজরদারি ও সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নৌবাহিনীতে সংযুক্ত হলো দুটি অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে এমপিএ ২টি সংযোজন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী নামফলক উন্মোচন করেন।
এর আগে, ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো দুইটি এমপিএ নেভাল এভিয়েশনে সংযোজন করেন। এর মধ্য দিয়ে নৌবাহিনীর নেভাল এভিয়েশন এমপিএ স্কোয়াড্রনে মোট ৪টি মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করল।
আধুনিক সেন্সর ও মিশন ইকুইপমেন্ট সম্বলিত নতুন ২টি ডর্নিয়ার ২২৮ এনজি মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২২৩ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম।
নব সংযোজিত এমপিএ ২টি প্রায় ৫ ঘন্টা একনাগাড়ে উড্ডয়ণের মাধ্যমে আমাদের সম্পূর্ণ এক্সক্লুসিভ ইকনোমিক জোন সহজেই নজরদারি করতে পারবে।
নতুন এমপিএ দুটিতে গভীর সমুদ্রে নজরদারীর যুক্ত রয়েছে সার্ভেইল্যান্স রাডার, ইলেক্ট্রা অপটিক ইনফ্রারেড ক্যামেরা,ট্যাকটিক্যাল ডেটা লিঙ্ক ও সার্চ এন্ড রেসকিউ ডিটেকশন ফাইন্ডার।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের সমাবেশে চেয়ারও ভরেনি: মির্জা ফখরুল
এছাড়া আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত মিশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং জাহাজ ও সাবমেরিনের সাথে যোগাযোগ স্থাপনকারী আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে এমপিএ দুইটিতে।
এই এমপিএসমূহ কমান্ড প্লাটফর্ম হিসেবে দেশের সমুদ্রসীমার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ, সুনীল অর্থনীতির সুরক্ষায় যে কোন অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
একাত্তর/আরবিএস