বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়ানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে সরকার।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদক মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ব্যাখ্যা দেয়।
এর আগে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে (সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল) ব্যবহার করা প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১৪ টাকা থেকে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়েছে।
আর ক্যাপটিভ বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা।
গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বাড়বে। তবে পহেলা মার্চ থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়বে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যায় বলা হয়, বাংলাদেশে গ্যাসের ব্যবহারকারীদের আটটি গ্রাহক শ্রেণি রয়েছে। তার মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭%, শিল্পে ২৩%, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮%, গৃহস্থালিতে ১০%, সার উৎপাদনে ৭%, সিএনজিতে ৪% এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১% গ্যাস ব্যবহৃত হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ মূল্যের সাথে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক ক্ষতি/ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ছয় হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।
মন্ত্রণালয় বলছে, কৃষি সেচ মৌসুম, রমজান মাস ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা আরো বেশি থাকে। শিল্প, গৃহস্থালি, সার উৎপাদন, সিএনজি, বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে মূল্য সমন্বয় অপরিবর্তিত রয়েছে।
এই মূল্য সমন্বয়ের ফলে এলএনজির বর্তমান বাজার মূল্য ও ডলার বিনিময় হার বিবেচনায় বিদ্যমান ভর্তুকি ছয় হাজার কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হতে পারে বলেছে মন্ত্রণালয়।