লালমনিরহাটে গৃহহীনদের বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এক বৃদ্ধার হাত থেকে মাইক কেড়ে নেয়ায় সংশ্লিষ্ট একজনকে ধমক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মাইক্রোফোনে কথা বলছিলেন বিধবা নারী শাহেরুন। লালমনিরহাট প্রান্তো থাকা শাহেরুন সময় নিয়ে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি মোনাজাত শুরু করেন। তখন তার হাত থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে নেওয়া হয়। এটি দেখেই মাইক নিয়ে নেয়া একজনকে ধমক দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, এই এই এটা কী করো, এটা কেমন কথা হলো। একজন মানুষ মোনাজাত করছেন, আর হাত থেকে সেটা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। হোয়াট ইজ দিস। এটা কী?
এরপর মাইক্রোফোনটি ওই নারীর কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং নিজের জীবনের কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। তিনি ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ আয়ু কামনা করে মোনাজাত ও কালীগঞ্জ উপজেলায় আসার আমন্ত্রণ জানান।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের জমির মালিকানা দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সুবিধাভোগীদের কাছে জমির মালিকানা দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর করা হয়। এদিন সারাদেশে গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা তালিকা করেছি কোন কোন এলাকায় কতগুলো ঘর পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কতগুলো আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। যাদের ঘরবাড়ি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে তাদেরকে আমরা ঘর তৈরি করে দেব। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো নির্মাণের উপকরণ দিয়ে সহায়তা করব। প্রাকৃতিক দুর্যোগে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের পাশে আমরা আছি। প্রাথমিকভাবে যা যা প্রয়োজন তা দিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করার পর অবৈধভাবে ক্ষমতার দখল করেছিলো যারা তারা এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে ব্যস্ত ছিলো। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জনগণের সেবক হিসেবে যাত্রা শুরু করে। তখন থেকেই ভূমিহীন মানুষদের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম।