বিচারকাজ পরিচালনার পরিবেশ না থাকায় বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস) বিদ্রোহ মামলার বিচার কার্যক্রম বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) হচ্ছে না।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী চিফ প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিডিআর বিদ্রোহ মামলার বিচারকও জানিয়েছেন, বর্তমানে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব না। পরবর্তীতে দিন ও স্থানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে ভোরে পুরান ঢাকার বকশী বাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে এজলাস কক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুরো কক্ষটি পুড়ে গেছে। তবে কীভাবে ওই আগুনের সূত্রপাত হয়েছিলো তা জানা যায়নি।
বিডিআর বিদ্রোহ মামলার বিচার কার্যক্রম বকশীবাজার অস্থায়ী আদালত থেকে সরিয়ে কেরানীগঞ্জ কারাগারের অস্থায়ী আদালতে নেওয়ার কথা থাকলেও প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় বকশীবাজার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত ভবনের অস্থায়ী আদালত মামলা পরিচালনা করার কথা ছিলো।
এ তথ্য জানার পর থেকেই আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী আদালত না বসানোর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাতভর আন্দোলনের পর বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তারা।
শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনের সড়ক, বকশী বাজার মোড় ও আশপাশের গলির প্রবেশমুখ বাঁশ দিয়ে আটকে রাখে। তাতে বকশীবাজার মোড় থেকে শিক্ষা বোর্ড এবং চকবাজারের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
১৫ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর ঢাকার পিলখানায় বিদ্রোহ হয়। বর্তমানে এই বাহিনীর নাম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
২০০৯ সালের ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে সেই ঘটনা।
ক্ষমতার পালাবদলের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি ওঠে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
পরে ১৫ বছর আগে এই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার।